Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

মমতাকে বিঁধল বিজেপি

জমি বিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতি করছে। আর তার মাসুল গুণতে হচ্ছে এ রাজ্যের আম জনতাকেই। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের অনুন্নয়নের জন্য দায়ী করে এই সুরেই তোপ দাগল বিজেপি। কলকাতায় শুক্রবার বণিকসভা আইসিসি-র আলোচনাসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপি-র জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের জমি নীতির বিরোধিতা করে মমতার পথে নামার বিরুদ্ধে সরব হন সম্বিত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৬
Share: Save:

জমি বিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতি করছে। আর তার মাসুল গুণতে হচ্ছে এ রাজ্যের আম জনতাকেই। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের অনুন্নয়নের জন্য দায়ী করে এই সুরেই তোপ দাগল বিজেপি।

কলকাতায় শুক্রবার বণিকসভা আইসিসি-র আলোচনাসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপি-র জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের জমি নীতির বিরোধিতা করে মমতার পথে নামার বিরুদ্ধে সরব হন সম্বিত। তিনি বলেন, ‘‘শিল্পের জন্য জমি জরুরি। জমি না দিলে শিল্প হবে না। আর শিল্পায়ন না হলে কাজের সুযোগ তৈরি হবে না। আখেরে মার খাবেন সাধারণ মানুষই।’’

বিজেপি মুখপাত্রের এই অভিযোগকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের মহাসচিব এবং রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন করা মানেই উন্নয়নের বিরোধিতা করা নাকি? গায়ের জোরে কৃষকের জমি কেড়ে উন্নয়ন করা যায় বলে সম্বিতবাবুরা মনে করে থাকতে পারেন। আমাদের দল মনে করে, সকলের স্বার্থ রক্ষা করেই উন্নয়ন সম্ভব।’’ পার্থবাবুর কটাক্ষ, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে আন্দোলন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৬ দিনের অনশন— এ সব বিজেপি নেতারা দেখেননি। তাঁরা জমি আন্দোলনের কী বুঝবেন!’’ বণিকসভার আলোচনায় এ দিন উঠে এসেছে জমি নেওয়ার জন্য জমির মালিকের সম্মতির প্রশ্নও। সম্বিতের দাবি, সব রাজ্যই জানিয়েছে ৮০% জমি মালিকের সম্মতি নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা অবাস্তব। এ ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০%-এর সম্মতি পাওয়া বাস্তবোচিত বলে মেনে নিয়েছে রাজ্যগুলি। তাঁর অভিযোগ, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ কথা মেনে নেওয়ার পরে বিতর্ক তৈরি করা নেহাতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সম্বিতের আরও বক্তব্য, কতটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, পরিস্থিতি বুঝে তা-ও ঠিক করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে রাজ্যগুলির। তিনি স্পষ্ট জানান, এ রাজ্যে এই বিল রূপায়ণ না করতেই পারেন মমতা। কিন্তু তার জন্য এ রাজ্যে উন্নয়ন আটকে গেলে তার দায়ও মুখ্যমন্ত্রীকেই নিতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE