বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে বাংলার মানুষকে ‘বঞ্চিত’ করেছে, এই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লি ও কলকাতায় কর্মসূচির পরে আগামী মাসে এই প্রশ্নে ময়দানে নামার কথা স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যে ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে কলকাতায় তার পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা করেছিল বিজেপি।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ২৯ নভেম্বর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সেই কর্মসূচি করতে চাইছে তারা। অনুমতি চেয়ে পুলিশকে দু’দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ অনুমতি দেবে না ধরে নিয়েই আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ওই জায়গায় তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ ছাড়া অন্য কেউ কিছু করতে পারবে না কেন, সেই প্রশ্নে বরাবরই সরব বিরোধীরা। বিজেপি ২০১৪ সালে আদালতের অনুমতি নিয়েই ওই জায়গায় অমিত শাহকে এনে সমাবেশ করেছিল।
তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’র কারণে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যাঁরা ‘বঞ্চিত’ হয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের নিয়ে কলকাতায় সমাবেশের কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তী সময়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই কর্মসূচিতে দলীয় সিলমোহর দেন। প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাকে জমায়েতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিকে। এ ছাড়া, উত্তরবঙ্গ থেকে বড় সংখ্যায় লোক আনার পরিকল্পনা হয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ ও মালদহ থেকে ট্রেন ভাড়া করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি চেয়ে লালবাজারের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। তাদের দেওয়া প্রথম চিঠি অবশ্য লালবাজার ফিরিয়ে দিয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। তারা ফের যুগ্ম নগরপালকে (সদর) চিঠি লিখেছে। অন্দরের খবর, সেই চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে বিজেপি নেতারা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত আদালতে গিয়েই তাঁদের অনুমতি আনতে হতে পারে। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ অনুমতি দেবে বলে মনে হয় না। আগেও আমরা ওই জায়গায় আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করেছি। এ বারও আমরা সব পথ খোলা রাখছি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)