Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Amit Shah

Arjun Chowrasia CBI: আত্মহত্যার তত্ত্ব উড়িয়ে অর্জুন-মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চাইছে পরিবার, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

মৃত অর্জুনের মায়ের দাবি, ছেলে বেশ কিছু দিন ধরেই ভয়ে ভয়ে ছিল। ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বিক্ষোভ কাশীপুরে। শুক্রবার।

বিক্ষোভ কাশীপুরে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২২ ১১:৫৩
Share: Save:

আত্মহত্যা করেনি ছেলে। তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি কাশীপুরে মৃত বিজেপি যুব মোর্চা কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মায়ের। তিনি ছেলের মৃত্যুর রহস্য সমাধানে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে কাশীপুরে রেল কোয়ার্টারের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে অর্জুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। অর্জুনের মা লছমিনা চৌরাসিয়া বলছেন, ‘‘ছেলে অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের নজরে ছিল। ঘরছাড়াও থাকতে হয়েছে। গত কাল ১১ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তার পর থেকেই আর কোনও খোঁজ নেই। আজ সকালে যখন মৃতদেহ উদ্ধার হল, তখন পকেটে মাত্র ৫০০ টাকা। এত ভাল ছেলেটাকে মেরে দিল!’’ অর্জুনের বোন সুনীতা অভিযোগ করেছেন, ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার কথা চিৎপুর থানায় জানানো সত্ত্বেও পুলিশ পাত্তা দেয়নি।

২৬ বছরের অর্জুন শুক্রবার শহরে অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে বাইক র‌্যালির আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সকালে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে মৃতের বন্ধু ও পরিজনদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে চিৎপুর থানার পুলিশ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিত্যক্ত ঘরেই পড়ে থাকে দেহ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, শাহ না আসা পর্যন্ত দেহ ছুঁতে দেওয়া হবে না পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ও ডিসি নর্থ। তাঁরা কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে রাজ্য সরকারের পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছে না মৃতের পরিবার। তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। ঘটনাকে হত্যা বলে অভিহিত করে এর সঙ্গে পুলিশের যুক্ত থাকার অভিযোগও করছেন লছমিনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Amit Shah BJP CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE