রাস্তায় বোমার আঘাতের চিহ্ন।—প্রতীকী চিত্র।
২১ জুলাই কলকাতার ধর্মতলায় দলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। ওই কর্মিসভায় বিজেপির কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর এক ঘণ্টার মাথায় বিজেপির বিস্তারক অভিযানে গুলি ও বোমা নিয়ে গণ্ডগোলে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাদরাগছ এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অরেন সিংহ (৪০)। গুলিবিদ্ধ হয়ে চোপড়ার সুইগছ এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ ঘোষ নামে আর এক জন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘বিজেপি আগুন নিয়ে খেলছে। প্ররোচনা দিচ্ছে গোলমালের। আমাদের কর্মিসভায় গুলি চালিয়েছে।’’ অমলবাবুর অভিযোগ, পরে তা নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাধে। সেখানে গুলি চলে। বোমা ছোড়া হয়।
এ দিন রাতে ইসলামপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দলের চোপড়া ব্লকের পর্যবেক্ষক সজেনরাম সিংহের দাবি, ‘‘অমলবাবুর দাবি ভিত্তিহীন। বরং, তৃণমূলের ছোড়া গুলি ও বোমার আঘাতে আমাদের একাধিক নেতা-কর্মী জখম হয়েছেন।’’ কিন্তু, তাঁদের কোথায় চিকিৎসা করানো হচ্ছে সেটা তিনি জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বসিরহাট থেকে পাহাড়, অশান্তির জন্য বিজেপির দিকে আঙুল মমতার
জেলার পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, ‘‘দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে।’’
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা এ দিন আচমকা তাদের কর্মিসভায় হাজির হয়ে দলীয় কর্মীদের লক্ষ করে গুলি চালায়। তাঁরা পালিয়ে বাঁচেন। এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরে বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের নেতৃত্বে বিজেপির শতাধিক নেতা-কর্মী মোটরবাইক ও ছোটগাড়িতে চেপে চাদরাগছ এলাকায় বিস্তারক যোজনা অভিযান করছিলেন। সেই সময় গোলমাল বাঁধে। বিজেপির অভিযোগ, গুলি-বোমা নিয়ে তৃণমূল হামলা করলে ঘটনাস্থলে অরেনবাবুর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy