Advertisement
E-Paper

সকালে বলেন, রাতে ভুলে যান! রাজ্যপালকে এ বার ‘অ্যালঝাইমার্স রোগী’ বলে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের

রাজ্য সরকারের ‘সদিচ্ছা’ থাকলেও, মূলত রাজভবনের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র জেরেই উপাচার্য নিয়োগে জট কাটছে না বলে অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৮
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ‘গাফিলতি’র কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ আটকে রয়েছে। রাজ্য সরকারের ‘সদিচ্ছা’ থাকলেও, মূলত রাজভবনের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র জেরে জট কাটছে না বলে অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল কখন কী বলেন, তার ঠিক থাকছে না। সকালে কিছু বললে রাতে তা ভুলে যান। বোসকে ‘অ্যালঝাইমার্সের’ রোগী বলেও দাবি করেন ব্রাত্য।

সুপ্রিম কোর্টই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট কাটাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছিল। প্রথমে রাজ্যপাল ‘সুপ্রিম কোর্টের লিখিত নির্দেশ নেই’ বলে অবস্থান নিয়েছিলেন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালের আইনজীবীকে। তার পর রাজ্য ও রাজ্যভবনের মধ্যে বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এর জন্য বোসকেই দায়ী করলেন ব্রাত্য। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা তো সদিচ্ছা দেখাচ্ছি। কিন্তু আর এক পক্ষ যদি সদিচ্ছা না দেখায়, আমরা কী করতে পারি? এর ফল যা হওয়ার, তা-ই হচ্ছে।’’

তৃণমূলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’ একটি নতুন কমিটি গঠন করেছে। ব্রাত্য তার সভাপতি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কমিটি। সেখানে বোসকে নিশানা করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘উনি (বোস) যা কথা দিয়েছেন, তা তো উনি রাখেননি। উনি বলেছিলেন, উপাচার্য নিয়োগ হবে। আলোচনা হবে। তা তো হলই। উনি সকালে যা বলেন, দুপুরে ভুলে যান। দুপুরে যা বলেন, সন্ধ্যায় ভুলে যান। আবার সন্ধ্যায় কিছু বললে তা রাতে ভুলে যান। চিরন্তন অ্যালঝাইমার্স নিয়ে চলা কোনও মানুষের সঙ্গে তো এ ভাবে কাজ করা মুশকিল।’’

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আদালতেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বৈঠকে যে সব সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তার কোনওটাই রাজ্যপাল রূপায়ণ করেননি বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। আগামী ২০ এপ্রিল সেই মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানানো হয়েছে ওয়েবকুপার তরফে।

Bratya Basu CV Ananda Bose
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy