Advertisement
E-Paper

শুধু কাঁটাতারে হবে না, চাই লোহার গেট! নদিয়ায় ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে বাধা! কাজ বন্ধ করল বিএসএফ

শিকারপুর বিডিও অফিসের পাশে মাথাভাঙা নদীর পাড়ে প্রায় ১.৩ কিলোমিটার জায়গাতে এতদিন কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। কিছু দিন আগে সেই কাজ শুরু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১৪
border

কাঁটাতার দেওয়ার সময় বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা। —নিজস্ব চিত্র।

এ পারে থাকা বাসিন্দাদের বাধায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার লাগানোর কাজ বন্ধ করতে হল বিএসএফকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শিকারপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে আপাতত কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

শিকারপুর বিডিও অফিসের পাশে মাথাভাঙা নদীর পাড়ে প্রায় ১.৩ কিলোমিটার জায়গাতে এতদিন কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। জমি অধিগ্রহণ এবং অন্যান্য বিষয়ে বিএসএফ এবং বিজিবি-র দীর্ঘ আলোচনার পরে মাস ছয়েক আগে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে লোহার ‘অ্যাঙ্গেল’ এবং পিলার বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে মুরুটিয়া থানার শিকারপুর কুটিপাড়া এলাকায় সেই ওই কাজ চলাকালীন শুরু হয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কাঁটাতারে একটি লোহার গেট বসাতে হবে। গেট ছাড়া কাঁটাতার বসলে অদূরের মাথাভাঙা নদীর জল এবং তীরের শ্মশান তাঁরা ব্যবহার করতে পারবেন না। যদিও কাঁটাতার দেওয়ার বিপক্ষে নন তাঁরা কেউ। অন্য দিকে, বিএসএফ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। গ্রামবাসীদের দাবি মতো আপাতত বিতর্কিত অংশ ছেড়ে বাকি অংশে কাঁটাতার বসানোর কাজ চলছে।

কুটিপাড়া এলাকায় কয়েক’শো পরিবারের বাস। কাঁটাতার বসানোর খবর পেয়ে সীমান্ত জড়ো হতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, একটি লোহার গেট লাগাতেই হবে। বিএসএফকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং বিদেশমন্ত্রকের কাছেও আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তপন রায়, করিমপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তাপস মণ্ডল। তাঁরা দু’জনেই জানান, গ্রামবাসীরা দাবি মতো বিএসএফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট জায়গা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হলেও এলাকার মানুষের সুবিধার্থে একটি গেট রাখা হবে। কিন্তু শনিবার গ্রামবাসীরা লক্ষ করেন গেট না রেখে সমস্ত জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। তাতেই আপত্তি জানান তাঁরা। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরাও বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।’’

India Bangladeh Border Nadia BSF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy