বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি।
উনআশি পূর্ণ করে আশিতে পা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ১ মার্চ, বুধবার জন্মদিনে বুদ্ধবাবুর বাড়িতে দেখা গেল শুভানুধ্যায়ীদের ভিড়। সাক্ষাৎ হবে না জেনেও সকাল থেকে তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের আনাগোনা লেগেই ছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁরা দেখা করে কুশল বিনিময় করেন। জানতে চান বুদ্ধবাবুর স্বাস্থ্যের কথা। রাজনীতিতে তাঁর সুহৃদ প্রয়াত অনিল বিশ্বাসেরও জন্ম একই দিনেই।
বুদ্ধবাবুর পরিবার জানিয়েছে, মার্কসবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় ঘটা করে কখনওই তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়নি। তা সত্ত্বেও অনুগামীরা, মূলত সিপিএমের তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা প্রবীণ নেতার বাড়িতে আসেন। কেউ কেউ সঙ্গে ফুল ও মিষ্টি আনেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মীরা। আনন্দবাজার অনলাইনকে মীরা বলেন, ‘‘সিপিএম নেতাদের তো জন্মদিন পালনের রেওয়াজ নেই। তা-ও অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে সমাজমাধ্যমে প্রচার করছেন। আমরা আপত্তি করলেও তাঁদের থামানো যায়নি। সিপিএম নেতারা তো বটেই, ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বহু ছেলেমেয়ে সকাল থেকে ফোন করেছেন। বুদ্ধবাবুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে তাঁরা খোঁজখবর নিয়েছেন।’’
স্ত্রী জানান, বাড়িতে বই পড়তে বা লেখালেখির কাজ করতে খুব ভালবাসেন বুদ্ধবাবু। কিন্তু চোখের সমস্যার কারণে এখন আর সেই কাজ করতে পারেন না। শারীরিক অবস্থার কারণেই তাঁর সঙ্গে শুভানুধ্যায়ীদের দেখা হয়নি। তবে যাঁরা বাড়িতে এসেছিলেন, যাঁরা ফোন করেছিলেন, তাঁদের কথা বুদ্ধবাবুকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মীরা। তিনি বলেন, ‘‘বুদ্ধবাবুকে তাঁর পছন্দের খাবার রান্না করে খাইয়েছি। কী রান্না করেছি, তা বলতে পারব না। সেটা আমাদের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়।’’
অন্য দিকে, সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিলেরও জন্মদিন পালিত হয়েছে দলীয় ভাবে। সিপিএম সূত্রে খবর, বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে অনীলের ছবিতে ফুলমালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কর্মী-সমর্থকেরা। এক নেতার কথায়, ‘‘আমাদের দলে তো জন্মদিন পালন করা হয় না। আগে অবশ্য আলিমুদ্দিনে দলীয় দফতরে সহকর্মীরা বুদ্ধবাবু এবং অনিল বিশ্বাসকে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy