যৌন নির্যাতন এবং পাচার চক্রের ‘শিকার’ হওয়া মহিলাদের ক্ষতিপূরণের মামলার শুনানিতে রাজ্যের কৌঁসুলিদের ‘গা-ছাড়া’ মনোভাব নিয়ে শুক্রবার উষ্মা প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না, এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে।
এই জনস্বার্থ মামলায় শুক্রবার বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের পক্ষের আইনজীবীদের অনুপস্থিতির জেরে এই ধরনের একাধিক মামলার শুনানি বিলম্বিত হচ্ছে। এই মামলাগুলি গুরুত্বপুর্ণ, নিষ্পত্তির জন্য রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এ দিনও রাজ্যের কৌঁসুলি শুনানিতে গরহাজির ছিলেন।
আদালতের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক যুবতীকে পাচার করা হয়েছিল। সেই চক্রের হাত থেকে ২০১৮ সালে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তার পরে ২০১৭ সালের রাজ্যের নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণ আইন অনুযায়ী ২০২১ সালে ওই যুবতীকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষ। এর পরে এক বছর কেটে গেলেও এবং বিভিন্ন দফতরে আবেদন করা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের অর্থ মেলেনি। তার পরেই তিনি হাই কোর্টে মামলা করেন।
শুক্রবার মামলাকারীর আইনজীবী সোফিয়া নিসার অভিযোগ করেন, চার বছর কেটে গেলেও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। রাজ্যের বক্তব্য জানানোর জন্য কোনও কৌঁসুলি ছিলেন না। তা দেখে বিচারপতি পাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এই ধরনের একাধিক মামলা বছরের পর বছর আদালতে বকেয়া পড়ে আছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্য সরকারকে।’’
এ বিষয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে অবগত করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)