—ফাইল চিত্র।
হাওড়া আদালতের মারামারির প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আগামিকাল, সোমবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
আদালত সূত্রের খবর, এই মামলায় হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, হাওড়ার জেলা জজ, মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল, রাজ্য সরকার (অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রতিনিধিত্ব করবেন) পুলিশের ডিজি, হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার, হাওড়া থানার ওসি এবং হাওড়া পুরসভার কমিশনারকে যুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ অথবা তাঁদের মনোনীত প্রতিনিধিদের কাল, সোমবার হাজির থাকতে হবে।
গত বুধবার হাওড়া পুরসভার সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে পুরকর্মী ও আইনজীবীদের সংঘর্ষের জেরে অবরোধ হয়। অবরোধকারী আইনজীবীদের সরাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদালতে ঢুকে তারা লাঠিচার্জ করেছে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল পাঠিয়েছে। প্রতিবাদে হাওড়া আদালতের আইনজীবীরা বুধবার থেকেই কাজ বন্ধ রেখেছেন। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজের এজলাসে বসে আইনজীবীদের আশ্বাস দেন, তিনি ঘটনার বিচারবিভাগীয় ও প্রশাসনিক রিপোর্ট তলব করেছেন। রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ব্যবস্থা নেবেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
হাইকোর্টের একটি সূত্র জানায়, হাওড়ার জেলা জজ ও মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতির দফতরে তাঁদের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন। হাওড়ার পুলিশ কমিশনারও যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে নিজের মন্তব্য জুড়ে প্রধান বিচারপতির অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রিতে রিপোর্ট দু’টি গোপনীয়তার সঙ্গে রাখা রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি আশ্বাস দিলেও রাজ্য বার কাউন্সিল হাইকোর্ট-সহ রাজ্যের সব বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের অনুরোধ করে, সোমবার পর্যন্ত আদালতে যোগ না দিতে। বার কাউন্সিল রাজ্যের সব আদালতের আইনজীবীদের সংগঠনের শীর্ষ সংগঠন, তাই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কাজে যোগ না দিতে যে অনুরোধ করেছেন, তা অমান্য করতে পারছেন না আইনজীবীরা। তার জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। বার কাউন্সিল জানায়, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ কী ব্যবস্থা নেয়, তা দেখে কাল, সোমবার বিকেলের জরুরি বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে। কর্মবিরতির জেরে এ দিন আলিপুর আদালতের আইনজীবীদের একাংশ মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটকে এজলাসে বসতে দেননি বলে অভিযোগ। আদালতে কাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy