ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) শুনানিতে সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এমনকি, ওয়েব কাস্টিং বা সরাসরি সম্প্রচারের বন্দোবস্ত করার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই ভাবনা থেকে সরে আসছে তারা। পরিবর্তে আরও কঠোর নজরদারির পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুনানির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে ওই পদ্ধতির মাধ্যমে।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ৪ নভেম্বর। পশ্চিমবঙ্গে ১১ ডিসেম্বর এনুমারেশন পর্ব শেষ হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। কমিশন জানিয়েছিল, ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় থাকা প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটারকে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হবে। এ ছাড়া, আরও লক্ষাধিক ভোটারকে সন্দেহজনক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদেরও শুনানিতে হাজির হতে হবে। তাঁদের তথ্য যাচাই করে দেখবে কমিশন। বৃহস্পতিবার থেকেই শুনানির নোটিস পাঠানো শুরু করার কথা ছিল। তবে এখনও তা শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন:
কমিশন জানিয়েছিল, এই শুনানির প্রক্রিয়া চলাকালীন স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে ওয়েব কাস্টিং হবে। সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে শুনানির জন্য উপস্থিত ভোটারের তথ্য যাচাই করা হবে। কিন্তু সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনায় বদল আনা হচ্ছে। তবে ওয়েব কাস্টিং বা সিসিটিভির পরিবর্তে ঠিক কী ধরনের নজরদারির বন্দোবস্ত করা হবে শুনানিতে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টিতে গোপনীয়তা বজায় রাখতে চায় কমিশন। কারও অসাধু উদ্দেশ্য থাকলে যাতে তাঁরা বিশেষ সুবিধা করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্যই এই গোপনীয়তা।
যে ৫৮ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে, তাঁদের মধ্যে মৃত ভোটারেরা রয়েছেন। এ ছাড়া, যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা দেননি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও-রা একাধিক বার চেষ্টা করেও যে সমস্ত ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি, তাঁদের নিখোঁজ বা অনুপস্থিত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকে ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। আগের ঠিকানা থেকে তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে। তবে ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে যে সমস্ত ভোটার কোনও ভাবেই নিজেদের যোগ দেখাতে পারেননি, তাঁদের ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় রাখা হয়েছে। শুনানিতে তাঁদের তথ্য যাচাই করা হবে। এ ছাড়া, যাঁদের ফর্মের তথ্য সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে, তাঁদেরও তলব করবে কমিশন।