Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় ধর্নায় বসতে চেয়ে হাই কোর্টে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকেরা, মিলল মামলার অনুমতি

পুলিশ অনুমতি দেয়নি অভিযোগ তুলে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের একাংশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। মুখ্যমন্ত্রীর সেনা সংক্রান্ত মন্তব্যের বিরোধিতায় ধর্নায় বসতে চেয়ে মামলা দায়ের করার আর্জি জানান তাঁরা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৮
সেনা তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দেওয়ার পর মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার।

সেনা তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দেওয়ার পর মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার। — ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধিতায় মেয়ো রোডে ধর্নায় বসতে চান প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের একাংশ। পুলিশ অনুমতি দেয়নি, এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। হাই কোর্ট মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। আগামী সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে।

সোমবারই ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচির মঞ্চ খুলে দিয়েছিল সেনা। মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার খবর পেয়েই সোজা গান্ধীমূর্তির সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙা মঞ্চ থেকে তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তবে সরাসরি সেনাকে আক্রমণ করেননি মমতা। বরং সেনার কথা বলার সময় তাঁর ভাষা এবং সুর ছিল অনেকটাই সংযত। তিনি বলেন, ‘‘আমার আর্মির বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ, আমরা সেনাকে নিয়ে গর্বিত।’’ মমতার মতে, সেনার এই মঞ্চ খোলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘সেনাকে যখন বিজেপির কথায় চলতে হয়, তখন দেশটা কোথায় যায়, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে!”

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি যখন এখানে আসছিলাম, তখন প্রায় ২০০ জন আর্মি (সেনা) আমায় দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। আমি বললাম যে, আপনারা কেন দৌড়ে পালাচ্ছেন? আপনারা আমার বন্ধু। আমরা আপনাদের নিয়ে গর্বিত। এটা আপনাদের দোষ নয়। আপনারা বিজেপির কথায় করেছেন। দিল্লির কথায় করেছেন। এটুকু বুদ্ধি আমাদের আছে। আমি সেনাকে দোষারোপ করছি না।’’

বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং বাংলা ভাষার অপমানের প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির সামনে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। সেইমতো মঞ্চও বেঁধেছিল বাংলার শাসকদল। সোমবার দুপুরের পর তৃণমূলের সেই প্রতিবাদমঞ্চ খুলতে শুরু করেন জওয়ানেরা। সেনা দাবি করে, দু’দিনের অনুমতি থাকলেও ময়দান এলাকায় মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে বাঁধা ছিল। অস্থায়ী ওই কাঠামো সরিয়ে দেওয়ার জন্য আয়োজকদের বেশ কয়েক বার জানানো হয়। কিন্তু তার পরও তা সরানো হয়নি বলে জানায় সেনা। তারা জানায় কলকাতা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। তার পরেই সেনা মঞ্চ সরানোর কাজ শুরু করেছে বলে জানানো হয়। তবে মমতা দাবি করেন, মঞ্চ সরানোর বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলা হয়নি। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘এ সব বাজে কথা।’’

(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্নায় বসতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং আদালত সেই কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছে। আদতে হাই কোর্ট ওই সেনা আধিকারিকদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে শুধু। কর্মসূচির অনুমতি নয়। সংশোধন-সহ খবরটি আমরা আবার প্রকাশ করলাম। অনিচ্ছাকৃত ওই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)

Ex Army Officer Sit in Protest mayo road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy