স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য, তার হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, জারি হওয়া রুলের প্রেক্ষিতে দু’সপ্তাহের মধ্যে আলাদা ভাবে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর। সে দিনও ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে হবে আধিকারিকদের। এ দিন বিচারপতি বলেন, “বিচারপতিরা বেতন পান, সরকারি আধিকারিকেরাও বেতন পান, তা হলে যৎসামান্য অর্থ পেনশন পাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কেন কষ্ট ভোগ করবেন?”
রাজ্যের আইনজীবী (এজি) কিশোর দত্ত যুক্তি দেন যে, ২০২১ সালে এ বিষয়ে কেন্দ্রকে নথি পাঠানো হলেও সম্প্রতি কেন্দ্র জানিয়েছে যে মামলাকারীর পেনশনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে হেতু মামলাকারী দাবি করেছেন তিনি খুলনা জেলে বন্দি ছিলেন, সেই তথ্য সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তায় এই দেরি হচ্ছে কি না, তা-ও যাচাই করা হবে। সে ক্ষেত্রে আদালত অবমাননার জন্য শাস্তি পেতে হবে আধিকারিকদের।”
আদালতের খবর, স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশন না মেলায় ২০১১ সালে হাই কোর্টে মামলা করেন উত্তর ২৪ পরগনার সতীশচন্দ্র দাস। তাতে ২০২০ সালে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, নথিপত্র যাচাই করে পেনশনের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে।
এই নির্দেশ পালনের বিষয়ে পাঁচ বছর পরেও সাড়া না মেলায় আদালত অবমাননার মামলা করেন সতীশচন্দ্র। সেই মামলায় যুক্ত করা হয় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিবকে। আদালতের নির্দেশ না মানা, শুনানিতে না থাকার দায়ে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব, বর্তমান মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি হয়। এ দিন আদালতে ছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভার্চুয়ালি ছিলেন বর্তমান মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)