মালদহের বন্যায় ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিপূরণের টাকা গিয়েছে অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ১০০ কোটি টাকার নয়ছয় হয়েছে বলেও অভিযোগ। তদন্ত করেও কেন রিপোর্ট প্রকাশ করছে না কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ), জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানায়, পরবর্তী শুনানির দিন ক্যাগকে জানাতে হবে কেন ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে না। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০১৭ সালে মালদহের বেশ কয়েকটি এলাকায় বন্যা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানায় রাজ্য। রাজ্যের দাবি, প্রায় ১৪ হাজার ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ক্ষতিপূরণের নামে ওই টাকা স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলি আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত ক্যাগকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়। প্রথম রিপোর্টে ক্যাগ দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে তারা।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, কারা কারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তা জানতে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেন মামলাকারী। তাতে দেখা যায় একটিও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ পাওয়া ব্যক্তিদের নাম মিলছে না। ফলে কারা ক্ষতিপূরণ পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ক্যাগের দ্বিতীয় অনুসন্ধান রিপোর্টে নথি এবং দুর্নীতির তথ্য রয়েছে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে না বলে জানায় ক্যাগ। কেন তা করা যাবে না, সেই প্রশ্নই তুলল কলকাতা হাই কোর্ট।