কাঁসাই, কেলেঘাই, চণ্ডীয়া নদী ঘেরা ময়না ব্লকের জল নিকাশির জন্য রয়েছে কয়েকটি বড় নিকাশি খাল। এ ছাড়াও অস্তিত্ব রয়েছে বেশ কিছু ছোট খালের। তবু বৃষ্টি হলেও গ্রামের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি থেকে জমা জল বেরোতে না পারার যন্ত্রণা যায়নি ময়নার বাসিন্দাদের।
এ বারও বর্ষায় বিপাকে পড়েছিলেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। এলাকার নিকাশি খালগুলির দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়া ও অধিকাংশ চাষের জমিতে মাছের ভেড়ি তৈরির ফলেই ময়নার বিস্তীর্ণ এলাকায় নিকাশির সমস্যা মারাত্মক আকার নিয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, নিকাশি খালগুলির সংস্কার চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জল যন্ত্রণা থেকে রেহাই মেলেনি তাঁদের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নার বড় নিকাশিখালগুলি সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির তরফে কয়েক মাস আগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল জেলা পরিষদ ও সেচ দফতরের কাছে। তারপর বলাইপন্ডা বাজার থেকে ময়না বাজার হয়ে কৃপাসিন্ধু মোড় পর্যন্ত ময়না-বলাইপন্ডা খাল ও খেজুরতলা থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত নিকাশিখাল সংস্কারের ব্যবস্থা হয়েছে। এই দুই নিকাশিখাল সংস্কার হলে কাঁসাই নদীর মাধ্যমে ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বর্ষার জল বেরিয়ে যাবে। তবে এই দুই খাল সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে খালের দু’পাশ দখল করে বেআইনিভাবে তৈরি দোকান ও বাড়িঘর। যার জেরে খালের স্রোত আটকে যাওয়ায় আবর্জনা জমে মজে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্কারের আগে খালের অবস্থা সরেজমিন দেখতে মাপজোক সহ সমীক্ষা করা হবে।