শোকার্ত: মিজানুরের পরিবার। ছবি: সামসুল হুদা
ক্যানিংয়ের গ্রামে গুলিতে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এক মহিলা-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে দক্ষিণ বুধাখালি থেকে ধরা পড়ে সনাতন মণ্ডল, গোপাল নস্কর, সুকান্ত মণ্ডল ও অনিমা মণ্ডল। তাদের কাছ থেকে দু’টি পাইপগান, তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, সকলেই যুব তৃণমূল সদস্য বলে পরিচিত। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ সর্দার এখনও অধরা। তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত মিজানুর রহমান সর্দারের পরিবার তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। তাঁর পরিবার-পরিজন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যুব তৃণমূল এবং দলের মূল সংগঠনের গোলমালের মাঝে পড়়ে গুলি লাগে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের। বেশ কিছু বছর ধরে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ক্যানিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় বার বার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খুন-জখমের ঘটনাও ঘটেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও গোলমালে রাশ টানা যায়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি সওকত মোল্লা সোমবার জানান, রবিবারের ঘটনার পরে দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্যানিং ১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি পরেশরাম দাসকে। পরেশ বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরেই চক্রান্ত হচ্ছে। দলের কাছে আমার অনুরোধ, কারা গন্ডগোলে মদত দিচ্ছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’’
এত সবের পরেও রবিবারের ঘটনা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ঘটনাটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না গোষ্ঠী পাকানো, তা দলীয় স্তরে তদন্ত করতে হবে। তবে আরএসএস এবং বিজেপি ওখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে অস্ত্রশিক্ষা-সহ নানা শিক্ষা দিচ্ছে। তার উসকানিও থাকতে পারে। কী ঘটেছে, খতিয়ে দেখা হবে। সাংগঠনিক ভাবে যা করণীয়, করা হবে।’’
পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পার্থবাবুকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর ম্যানিয়া হয়েছে। সব ঘটনায় বিজেপি-আরএসএস দেখতে পাচ্ছেন। সকলে বলছে ক্যানিংয়ের ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর উনি আমাদের নাম জড়িয়ে আসলে আমাদের দলেরই প্রচার করে দিচ্ছেন।’’ দিলীপের কথায়, ‘‘এতে আমাদের ভাল হচ্ছে। লোকে বুঝছে, বিজেপির মারার ক্ষমতা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy