Advertisement
E-Paper

‘খরচ চালাতে পারছি না!’ ফ্রিজ় করা অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে কোর্টে অর্পিতা, পার্থ-প্রশ্নে নিরুত্তর

ইডি-র বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্ট ফের খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গত মাসেই নগর দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন অর্পিতা। তাঁর যুক্তি ছিল, অ্যাকাউন্টগুলি ২০০৪ সালে খোলা। তখন নিয়োগ মামলার অস্তিত্ব ছিল না। তাই ওই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে রাখার কোনও যুক্তি নেই।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:২০
(বাঁ দিকে) অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)

(বাঁ দিকে) অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।

তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। যার জেরে জীবনধারণও কঠিন হয়ে পড়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। এ বার সেই অ্যাকাউন্টগুলি ফের ব্যবহার করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।

ইডি-র বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্ট ফের খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গত মাসেই নগর দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন অর্পিতা। তাঁর যুক্তি ছিল, অ্যাকাউন্টগুলি ২০০৪ সালে খোলা। তখন নিয়োগ মামলার অস্তিত্ব ছিল না। তাই ওই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে রাখার কোনও যুক্তি নেই। সোমবার ওই মামলার শুনানিতে অর্পিতার আইনজীবী গোপাল হালদার জানান, ব‍্যাঙ্ক অ‍্যাকাউন্ট ব‍্যবহার করতে না পারার ফলে তাঁর মক্কেলের খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে জীবনধারণের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মামলা সংক্রান্ত কিছু নথিও আদালতে জমা দেন আইনজীবী। যদিও বিচারক জানান, ওই নথিগুলির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এর পর অর্পিতার আইনজীবী অনুরোধ করেন, তা হলে আরও কিছু সময় দেওয়া হোক। তাতে আবেদন করার অনুমতি দেন বিচারক। আগামী ১৬ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।

অর্পিতার আইনজীবীর কথায়, ‘‘নিয়োগ মামলা প্রকাশ্যে আসে ২০১৪ সালে। ২০২২ সালে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা হয়। অথচ ওই ব‍্যাঙ্ক অ‍্যাকাউন্ট ২০০৪ সালের। এর সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। আর অর্পিতা তো কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন! সে সময় অভিনয় ও মডেলিং করে আয় করতেন তিনি। ওই টাকা যে দুর্নীতির টাকা, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই।’’ আইনজীবীর কথায়, কোনও আয় না থাকায় খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে জীবনধারণে খুবই অসুবিধা হচ্ছে অর্পিতার।

অন্য দিকে, আদালত থেকে বেরিয়ে অর্পিতাও বলেন, ‘‘সমস্যা তো হচ্ছেই! জীবন চালানোর জ‍ন‍্য তো নিজের কিছু দরকার, এখন সে ভাবে কিছু নেই। ফলে অসুবিধা হচ্ছে। তবে এগুলো আদালতের ব‍্যাপার। ওঁরা মনে করেছেন তাই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করেছেন। আদালতে আবেদন করেছি। দেখা যাক কী হয়।’’ জেলমুক্তির পর ‘বন্ধু’ পার্থের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে অবশ্য মুখ খোলেননি অর্পিতা। সংক্ষেপে বলে দেন, ‘‘এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইবেন না।’’ তার পর গাড়িতে চেপে কোর্ট চত্বর ছাড়েন পার্থের বান্ধবী।

Arpita Mukherjee Partha Chatterjee ED Primary Recruitment Case Bank Account
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy