নীল রঙের বড় সুটকেস কোলে আঁকড়ে পিছনের সিটে বসেছিলেন তিনি। সিটের নীচে ছিল একটা বড় থলে। ঘামছিলেন দরদর করে। আর দ্রুত চালানোর জন্য চালককে তাড়া দিচ্ছিলেন বারবার।
কেন, সে কথা তখন বুঝতে পারেননি গাড়ির চালক নুর হাসান আলি। বর্ধমানের লস্করদিঘির বাসিন্দা নুর হাসান জানান, মঙ্গলবার খবরের কাগজ ও টিভি দেখে দুর্গাপুরের বাসিন্দা সুচেতা ও তাঁর শিশুকন্যা দীপাঞ্জনার মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানতে পারেন। বুঝতে পারেন, মা-মেয়েকে টুকরো করে ব্যাগে পুরে ফেলায় মূল অভিযুক্ত সমরেশ সরকারই সে দিন তাঁর গাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। সমরেশের কোলে নীল সুটকেসে ছিল সুচেতার ধড়। নীচের থলেতে ছিল তাঁর মুন্ড। আরও একটি সুটকেস ও একটি ব্যাগও তাঁর সঙ্গে ছিল, তা-ও মনে পড়ে নুর আলির।
প্রথমে কয়েক জন বন্ধু, তার পরে তৃণমূলের ট্যাক্সি ইউনিয়নের কর্তাদের বিষয়টি জানান নুর আলি। ওই ইউনিয়নের সভাপতি ইফতিকার আহমেদ বলেন, “আমরা নুরকে থানায় যোগাযোগ করতে বলি।”