Advertisement
E-Paper

প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে ফের মামলা

মামলার পর মামলায় দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে টেট-উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ফের আইনি প্যাঁচে পড়ে গেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য শিক্ষক-পদে নিয়োগের উদ্যোগ। নিয়োগ স্থগিত রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:০২

মামলার পর মামলায় দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে টেট-উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ফের আইনি প্যাঁচে পড়ে গেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য শিক্ষক-পদে নিয়োগের উদ্যোগ। নিয়োগ স্থগিত রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ‘টেট’-এর ফল ঘোষণার বৈধতা এবং নিয়োগের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মঙ্গলবার হাইকোর্টে মামলা করেছেন ১৫০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী। নানান অসঙ্গতি ও অনিয়মের সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও আনা হয়েছে নতুন মামলার আবেদনে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে কাল, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

২০১৫ সালের অক্টোবরে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। শুধু প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা নিয়োগের সুযোগ পাবেন, নাকি প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদেরও নেওয়া হবে— তা নিয়ে টানাপড়েন, মামলা-মকদ্দমা চলে দীর্ঘদিন। এ বারের মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনানের আদালতে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, ২০১৫-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতেও রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, প্রাথমিক টেটে নিয়োগের তিনটি প্যানেল তৈরি হবে। কিন্তু গত ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিক টেটের ফল নিয়ম মেনে প্রকাশ করা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, প্রশিক্ষিতদের অনেকেই চাকরি পাননি। সেই কারণে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও বীরভূমের ১৫০ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

কী বলা হয়েছে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের এই মামলার আবেদনে?

আইনজীবীরা জানান, রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে ৪০ হাজার শিক্ষক-পদ ফাঁকা আছে বলে সরকার জানিয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত মাত্র ১২ হাজার টেট-উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। তা ছাড়া যে-কোনও সরকারি পদে নিয়োগ পরীক্ষার (লিখিত ও ইন্টারভিউ) পরে মেধা-তালিকার ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা আইনবিরুদ্ধ। আদালতে এ-সব কথাই জানিয়েছেন আবেদনকারীরা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় টাকাপয়সা লেনদেনের অভিযোগও তোলা হয়েছে মামলার আবেদনে।

অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য সরকার শূন্য পদে নিয়োগ করছে খেয়ালখুশিমতো। কিছু প্রশিক্ষিত প্রার্থীকে চাকরি দিয়ে অধিকাংশ পদেই নিয়োগ করা হচ্ছে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের। মামলার আবেদনে শিক্ষক নিয়োগের উপরে স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।

Primary Teacher recruitment Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy