ভবানীপুরে মন্দিরে মদন মিত্র। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
জেল থেকে বেরিয়ে এই প্রথম সর্বসমক্ষে এলেন মদন মিত্র। মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে সিবিআইকে বিশ্বের ‘শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা সংস্থা’র আখ্যা দিলেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। অন্য দিকে, প্রায় একই সময়ে মদনের জামিন খারিজের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই।
জেল থেকে বেরিয়েছেন গত ১০ সেপ্টেম্বর। ৩০ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ড এবং চারটি শর্তের ভিত্তিতে আলিপুর দায়রা আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। মদন মিত্র আর প্রভাবশালী নন এই মর্মে সিলমোহর লাগিয়েছে আদালত। এ বার প্রভাবশালী তত্ত্বকেই হাতিয়ার করে ফের আইনি লড়াইয়ে নামতে চলেছে সিবিআই। কিন্তু মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মদনবাবুর কথা, ‘আমি প্রভাবশালী নই, আমি অভাবশালী।’
গত শনিবার বাড়ির লোকেরা তাঁকে জেল থেকে ফিরিয়ে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে বাড়িতে থাকা হচ্ছে না তাঁর। আপাতত তাঁর ঠিকানা ভবানীপুর এলাকার এলগিন রোডে একটি হোটেল। ইদের পর ফের আদালত চালু হলে আইনজীবীরা তাঁর কালীঘাট থানা এলাকার বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন।
নাতিকে দাদুর আদর। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
আরও পড়ুন: মমতার হাত দিয়েই সিঙ্গুরে শুরু পরচা বিলি
এ দিন দুপুরে তাঁর অনুগতদের নিয়েই ভবানীপুরেরে স্থানীয় এক মন্দিরে পাড়ি দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ ও ক্রীড়ামন্ত্রী। দল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর পাশেই আছেন এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল হয়ে স্বভাবতই খুশি তিনি। তবে সিবিআইয়ের মামলার খোঁচা তাঁকে কিছুটা হলেও অস্বস্তির মধ্যে রেখেছে। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, ‘‘সিবিআই তাদের মতো কাজ করবে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। সিবিআই-কে সহযোগিতা করব।’’ দীর্ঘ একুশ মাস জেলে কাটিয়ে হোটেলে ঠাঁই নিয়েছেন। কিন্তু শরীরটাও জুতসই নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন। এই সব কিছুর মধ্যেও অস্বস্তি কাটছে না যত ক্ষণ না হাইকোর্টের মতামত জানতে পারছেন। কেন না এর আগেও নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েছিলেন, কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই হাইকোর্ট সেই জামিন বাতিল করায় আবার তাঁকে জেলে ফিরতে হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy