Advertisement
০২ মে ২০২৪

সারদা মামলাতেও প্রশ্নের মুখে শোভন

এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শোভনবাবু সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিবিআইয়ের দফতরে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

সিবিআইয়ের দফতরে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৯
Share: Save:

নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), দুই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থারই নানান প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তিনি। কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এ বার অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়।

এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শোভনবাবু সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এসপি পদমর্যাদার এক জন অফিসারের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের চার প্রতিনিধি শোভনবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শোভনবাবু মেয়র থাকাকালীন ডায়মন্ড হারবার রোডে সারদার একটি অফিসের ঠিকানায় কলকাতা পুরসভার তরফে প্রায় ৫০টি সংস্থার নামে ‘ট্রেড লাইসেন্স’ দেওয়া হয়েছিল। একই চত্বরে এত সংস্থাকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হল কী ভাবে, প্রথমে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায়। তদন্তকারীরা জানান, সারদার সঙ্গে কলকাতা পুরসভার কোনও যোগসাজশ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থ লগ্নি সংস্থা হিসেবে সারদার রমরমা শুরু হয় ২০০৮ সালের পর থেকে। সেই সময় কলকাতার মেয়র ছিলেন শোভনবাবু। পুরসভার কোন আইনে ওই সব লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চাওয়া হয় শোভনবাবুর কাছে।

শোভনবাবু পরে বলেন, ‘‘আমাকে সারদা তদন্তে ডাকা হয়েছিল। কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমি ওদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।’’ সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মেয়রকে ফের তলব করা হতে পারে। সেই সময় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE