Advertisement
E-Paper

CBI: অভিজিৎ খুনের দৃশ্য পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই

কলকাতা হাই কোর্ট ভোট-পরবর্তী সময়ে রাজ্যে মূলত খুন ও ধর্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তভার দিয়েছে সিবিআই-কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২১ ০৭:১১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে নেমে কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার মৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই। যেখানে অভিজিতের দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সিবিআইয়ের লোকজন বৃহস্পতিবার সেই জায়গা পরিদর্শন করেন। ওই ঘটনায় মানিকতলা থানার পুলিশ এর আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, অভিজিতের মৃতদেহ চার মাস ধরে মর্গে পড়ে রয়েছে। সৎকার না-হওয়ায় সংস্কার ও সামাজিক রীতি অনুযায়ী অশৌচ চলছে তাঁর পরিবারে। বৃহস্পতিবার ছিল অভিজিতের জন্মদিন। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা অভিজিতের বাড়িতে পৌঁছে দেখেন, অভিজিতের বন্ধুদের রান্না করে খাওয়াচ্ছন তাঁর মা ও বৌদি।

কলকাতা হাই কোর্ট ভোট-পরবর্তী সময়ে রাজ্যে মূলত খুন ও ধর্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তভার দিয়েছে সিবিআই-কে। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে সিবিআই এ দিন মোট ন’টি এফআইআর দায়ের করেছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রের খবর। আপাতত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে তিনটি ক্যাম্প অফিস করে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানান এক সিবিআই-কর্তা।

এ দিন সিবিআইয়ের দল তিনটি জায়গায় তদন্ত করতে যায়। তার মধ্যে দু’টি ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা হলেও একটি ঘটনা প্রায় এক বছরের পুরনো। অভিযোগ, বছরখানেক আগে বীজপুর থানা এলাকার হালিশহরে সৈকত ভাওয়াল নামে এক বিজেপি কর্মীকে কোদালের বাঁটের গায়ে পেরেক লাগিয়ে তা দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভোট-পরবর্তী খুনের তদন্তে নেমে এ দিন সিবিআই তাঁর বাড়িতে গেল কেন, এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

কলকাতার মানিকতলার পরে সিবিআইয়ের দল এ দিন দুপুরে পৌঁছয় ভাটপাড়ার কুলিডিপো এলাকায়। অভিযোগ, গত ৬ জুন সেখানে বাড়ির সামনেই জয়প্রকাশ যাদব নামে এক ব্যক্তির মাথায় বোমা মারা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্বপ্না যাদব নামে তাঁর এক আত্মীয়া জানান, সিবিআই আধিকারিকেরা এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পরে বাড়ির সামনের দেওয়ালে রক্তের দাগ লেগেছিল। পরে আমরা বাড়ি রং করাই। সেই সব কিছুই বিস্তারিত ভাবে জানতে চায় সিবিআই।’’ ওই ঘটনার পরে বিজেপি দাবি করে, জয়প্রকাশ তাদের কর্মী ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের বক্তব্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে বচসার জেরে খুন হন জয়প্রকাশ। এ দিন স্বপ্না বলেন, ‘‘আমরা রেলের জমিতে থাকি। আমাদের কোনও জমিই নেই তো ঝগড়া কী করে হবে! ওটা ছিল কাকাকে খুনের অজুহাত।’’

হাই কোর্টের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যেরা ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসে একাধিক বার স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন।
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের নিরাপত্তার জন্য চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে।

CBI BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy