রোজভ্যালি-কাণ্ডে নোটিস পাওয়ার পর সিবিআইয়ের কাছে সময় চাইলেন রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমার। এমনটাই জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে।
রবিবার পার্ক স্ট্রিটে তাঁর বাসভবনে গিয়ে রোজভ্যালি-কাণ্ডে তদন্তের জন্য সোমবার হাজিরা দেওয়ার নোটিস দিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই যখন তাঁর বাসভবনে যান, তখন সেখানে ছিলেন রাজীবের স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার। রাজীব কোথায় রয়েছেন? তাঁর কাছে ফের জানতে চান অফিসারেরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজীবের। কিন্তু, হাজিরা না দিয়ে তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
অন্য দিকে, নিম্ন আদালতে গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা বিফলে যাওয়ার পর এ বার রাজীব কুমার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন। তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমারের তরফে এ দিন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করা হয়। শনিবার আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতে রাজীবের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তার পরই রাজীবের তরফে এই পদক্ষেপ। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ওকালতনামায় নিজেই সই করছেন, তবু রাজীবের খোঁজ পাচ্ছে না সিবিআই
এ দিন সিবিআইয়ের একটি দলও হাইকোর্টে যায়। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ থাকার পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দেয় ওই দল। রাজীবের তরফে আবেদন জমা পড়ার পর, সিবিআই তাদের আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর এবং কালীচরণ মিশ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ ৪ ছাত্রছাত্রীর
আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতেই পারেন রাজীব কুমার। কিন্তু সেখানে গিয়ে রাজীব কতটা সুবিধা পাবেন, সে ব্যাপারে তাঁরা সন্দিহান। এর আগে বারাসত এমপি-এমএলএ বিশেষ আদালত, তার পর বারসাত জেলা আদালতেও তাঁর আগাম জামিনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আলিপুর আদালতের এক আইনজীবী বলেন, “এখন জল মাপছেন রাজীব। তিনি এই এক সপ্তাহ অন্তরালে থেকে নিজের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন। লাভের লাভ কিছুই হল না। এ সবের থেকে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৬০ ধারায় যখন তাঁকে তলব করা হয়েছিল, তখন হাজিরা দিলে তিনি অ্যাডভান্টেজেই থাকতেন।’’