সিটের সদস্য ছিলেন অর্ণব ঘোষও। —ফাইল চিত্র
কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সারদা তদন্তে রাজ্য সরকারের গড়া ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দলের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে অবশ্য তেমন কোনও নির্দেশ নেই। সিবিআই তাঁদের প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রয়োজনে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারে। এই পরিস্থিতি পুলিশ-প্রশাসনে একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, অর্ণব ঘোষ, বিনীত গোয়েল-সহ তৎকালীন সিটের অন্যান্য সদস্যের কী হবে?
সিবিআই এখনও পর্যন্ত সিটের সদস্য শঙ্কর ভট্টাচার্য, দিলীপ হাজরা, দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও পল্লবকান্তি ঘোষের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। রাজীব কুমার, বিনীত গোয়েল, অর্ণব ঘোষ, প্রভাকর নাথ-সহ সিটের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও তারা কথা বলবে বলে ঠিক করেছে। রাজীব কুমারের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব মিটলেই সে-দিকে নজর দেবে সিবিআই। তাদের আশা, তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য সিটের অন্য সদস্যেরা এগিয়ে আসবেন। তাঁদের জন্য আলাদা করে আর শীর্ষ আদালতে যেতে চায় না তারা।
সিবিআইয়ের তলবে পল্লবকান্তি ঘোষ-সহ কয়েক জন হাজির হলেও রাজীব কুমারের মতো সিটের অনেকেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত এ বার রাজীবকে তদন্তে যোগ দিতে এবং বিশ্বাসযোগ্য ভাবে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সিটের অন্য সদস্যদের পক্ষে সিবিআইয়ের ডাক উপেক্ষা করা মুশকিল হবে বলেই মনে করছেন পুলিশকর্তাদের একাংশ।
বর্তমানে মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণবকে সিবিআই তলব করায় তিনি সেই তলবের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। একই পথ নিয়েছিলেন সারদা মামলায় জড়িত নিচু তলার কয়েক জন পুলিশ অফিসারও। শীর্ষ আদালতের মঙ্গলবারের নির্দেশ দেখে কলকাতা হাইকোর্ট কী বলে, তার জন্য অপেক্ষা করছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘সিটের সদস্যেরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলেই আমাদের আশা। যে-সব তথ্যপ্রমাণ মিলছে না, সেগুলির হদিস দিলেই সব চেয়ে ভাল।’’ কিন্তু যদি তা না-মেলে? ওই সিবিআই-কর্তা বলেন, ‘‘সিটের সদস্যেরা তো তদন্তকারী ছিলেন। ফলে তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে তাঁদের সহযোগিতাই করার কথা। উল্টো কাজ তো অপরাধীরা করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy