Advertisement
E-Paper

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোমর বেঁধে নেমে পড়ার নির্দেশ গোয়েন্দাদের

কলকাতা হাইকোর্ট নারদ ঘুষ কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোমর বেঁধে নেমে পড়ার নির্দেশ যায় কেন্দ্রীয় এই সংস্থার কাছে। তার পরেই দিল্লির তিন অফিসারকে নিয়ে প্রাথমিক তদন্তকারী দল গড়ে ফেলে সিবিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩৩

কলকাতা হাইকোর্ট নারদ ঘুষ কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোমর বেঁধে নেমে পড়ার নির্দেশ যায় কেন্দ্রীয় এই সংস্থার কাছে। তার পরেই দিল্লির তিন অফিসারকে নিয়ে প্রাথমিক তদন্তকারী দল গড়ে ফেলে সিবিআই।

শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হাইকোর্ট নারদ তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। তার পরেই তোড়জোড় পড়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। কারণ সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে। নির্দেশ পাঠানো হয় সিবিআইয়ের কাছে।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনও আদালত কোনও ঘটনায় সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দিলে তার কপি প্রথমে দিল্লিতে সিবিআই অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়। সেই মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় ফ্যাক্সে কলকাতা হাইকোর্টের নারদ মামলার নির্দেশের প্রতিলিপিও সিবিআই অধিকর্তা অলোককুমার বর্মার কাছে পৌঁছে যায়। তার পরেই এই দল গড়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাটি।

কিন্তু এই দলে শুধু দিল্লির অফিসারদের রাখা হল কেন? সিবিআইয়ের এক কর্তার ব্যাখ্যা— অভিযুক্তদের বেশির ভাগই সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনের আগেই তারা এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই কারণেই আপাতত দিল্লির অফিসারেরা থাকছেন দলে। তবে এই দল প্রাথমিক তদন্তের জন্য। পরে আরও অফিসারকে এই দলে যুক্ত করা হতে পারে। তা ছাড়া সিবিআইয়ের কলকাতা অফিসও তদন্তের কাজে দলের সঙ্গে থাকবে।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নারদ সংক্রান্ত ফরেন্সিক রিপোর্ট ও ভিডিও টেপ ব্যাঙ্কের লকার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংগ্রহ করতে হবে সিবিআইকে। কিন্তু দিল্লির তদন্তকারী দল আজ, শনিবারের মধ্যে সেই নথি ব্যাঙ্কের লকার থেকে নিজেদের হেফাজতে কী ভাবে নেবে? দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘কলকাতার অফিসারেরাই এই কাজ করবেন।’’

হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে। তার পরে সিবিআই যদি মনে করে পুর্ণাঙ্গ তদন্তে নামবে। সিবিআই সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই একটি প্রাথমিক তদন্ত (প্রিলিমিনারি এনকোয়ারি বা পিই) শুরু করা হবে। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘রেগুলার কেস’ শুরু হবে। প্রয়োজনে আলাদা করে এফআইআর দায়ের করে অভিযুক্ত সব নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদকে জেরা করতে পারেন তদন্তকারীরা।

CBI BJP Narada Scam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy