কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, সুন্দরবন নিয়ে সরকারি কর্তারা যে মোটেই সংবেদনশীল নন, তা স্পষ্ট করে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের দূষণ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সুন্দরবন জীববৈচিত্রের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দিকে অনেক বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য, উভয় সরকারের দিক থেকে সম্পূর্ণ অসংবেদনশীল মনোভাবই ফুটে উঠেছে।
অসংবেদনশীল মনোভাব যে রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের দায়ের করা রিপোর্টেও। ১১ জুলাই শুনানির দিন সুন্দরবনের উপকূল এলাকার মানচিত্র নিয়ে দু’পক্ষের রিপোর্ট তলব করেছিল পরিবেশ আদালত। এ দিন দু’পক্ষের রিপোর্ট দেখে আদালত বলেছে, রিপোর্ট দু’টি বিভ্রান্তিকর এবং পরস্পরবিরোধী। সরকারি সূত্রের খবর, উপকূল এলাকার মানচিত্র তৈরির দায়িত্ব কার, তা নিয়ে আগে থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে বিরোধ চলছে। এবং আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে সেটাই ফুটে উঠেছে।
সুন্দরবনের দূষণ নিয়ে এ দিন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কয়েক দফা নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত। এই মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, মানচিত্র তৈরির সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক, রাজ্য সরকার এবং এ রাজ্যের উপকূল পরিচালন পর্ষদকে নিয়ে এক মাসের মধ্যে বৈঠক করতে বলেছে আদালত। সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি বাড়াতে হবে। সুন্দরবনের জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র, বন, পরিবেশ, গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তাদের নিয়ে একটি কমিটিও গড়তে বলা হয়েছে।
এ দিন পরিবেশ আদালত আরও জানিয়েছে, সুন্দরবন এলাকায় পর্যটনেও নিয়ন্ত্রণ জারি করতে হবে। ওই এলাকায় হোটেল, পর্যটন, শিল্পের মতো বাণিজ্যিক কাজে নতুন লাইসেন্স দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সুন্দরবনের হোটেলগুলির ছাড়পত্র নিয়ে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। এ দিন রাজ্য দূষণ পর্ষদের আইনজীবী অর্পিতা চৌধুরীকে আদালত বলেছে, সুন্দরবনের হোটেলগুলি পরিদর্শন করে তবেই ছাড়পত্র দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy