প্রতীকী ছবি
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার: কেএলও-র সক্রিয়তা কতটা বেড়েছে, তার খোঁজে এ বারে উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে বাড়তি নজর রাখতে শুরু করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে তাঁরা খোঁজ করে দেখতে চাইছেন, উত্তরবঙ্গের কোথাও কোনও তৎপরতা শুরু করার চেষ্টা হচ্ছে কি না। গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অসম সীমানায় আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু সন্দেহভাজন এলাকায় কেন্দ্র ও রাজ্য দুই তরফের গোয়েন্দারাই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ভুটান সীমান্তে। অসমের কোথায় কোথায় একসময় কেএলও-র শক্ত ঘাঁটি ছিল, সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বর্তমানে কী অবস্থা, ওই এলাকার কাদের সঙ্গে কেএলও-র যোগাযোগ ছিল, তা নিয়েও বিশদে খোঁজ নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক অফিসার বলেন, “এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে কোনও
তথ্য আমরা পাইনি। তবে সর্বত্র নজরদাররি চলছে।”
গত কিছু দিন ধরে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ বার কয়েক সমাজমাধ্যমে তাঁর বার্তা দিয়েছেন। সেই সব বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এ বারে ফের নিজেদের দাবিতে সক্রিয় হয়ে উঠবেন তাঁরা। শেষ ভিডিয়ো বার্তায় জীবন সিংহ আলাদা রাষ্ট্র গড়ার ডাক দেন। রাষ্ট্রের মানচিত্র কেমন হবে, তা-ও তিনি স্পষ্ট করে দেন। এর পরেই জীবন সিংহ নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের একাংশের কথায়, বিশেষ করে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পরে জীবন সিংহের আলাদা রাষ্ট্র গড়ার ডাককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। কেএলও-র সঙ্গে কোনও তালিব যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়েও খোঁজ শুরু করেন গোয়েন্দারা। কিন্তু জীবন কোথায় বা তিনি নতুন করে কী ভাবে তাঁর সংগঠনের জাল বিস্তার করতে চাইছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গোয়েন্দারা যতটুকু জানতে পেরেছেন, তাতে উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা মায়ানমারের কোনও জঙ্গলে ঘাঁটি করে জীবন জাল বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তবে এখনও তাঁর লোকবল বেশি নয় বলেই গোয়েন্দাদের দাবি। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, জীবনের ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর পুরনো এলাকায় প্রভাব পড়তে পারে। তাই উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের উপরে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy