সন্দেশখালিতে বিজেপির প্রতিনিধিরা। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসার খোঁজে সন্দেশখালি গেল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার সন্দেশখালির বেড়মজুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বড় আজগারা গ্রামে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেব-সহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রের সন্দেশখালি বিধানসভার অন্তর্গত বেড়মজুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বড় আজগারা গ্রামের ৪৬, ৪৭, ৪৮ এই তিনটি বুথ রয়েছে। মধ্যে ৪৬ নম্বর বুথে ৪০০ ভোটে এবং ৪৭ নম্বর বুথে ২২০ ভোটে হেরে যায় তৃণমূল। অভিযোগ, তার পর থেকেই ওই দু’টি বুথ এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে শুরু হয় অত্যাচার।
বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধর, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় পানীয় জলের কল থেকে জল নেওয়া পর্যন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তার পর সেখানে গিয়েছিলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পর্যবেক্ষক অর্চনা মজুমদার, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ এবং বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র।
তাঁরা গিয়ে সরজমিনে পুরো ঘটনা দেখেন এবং কেন্দ্রের কাছে একটা রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী আজ বিপ্লবের নেতৃত্বে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল সন্দেশখালি বড় আজগারা গ্রামে যায়। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা। প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির পাশাপাশি কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস দেখতে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দলের প্রতিনিধিরা। বিপ্লব ছাড়়াও দলে রয়েছেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং সাংসদ কবিতা পটীদার।
সন্দেশখালির ‘নির্যাতিত’ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সামনে পেয়ে অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। তাঁদের ভাঙচুর হওয়া বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। বিপ্লব বলেন, ‘‘আমরা গ্রামে ঘুরে সব নিজেদের চোখেই দেখলাম। সেই রিপোর্ট দিল্লিতে গিয়ে দেওয়া হবে। শেখ শাহজাহানের মতন যে সব গুন্ডাবাহিনীর লোকেরা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা শুধরে যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy