ফাইল চিত্র।
বর্ষার বিদায়ঘন্টা বেজে গিয়েছে। বাংলা থেকে তার পাততাড়ি গোটানো কেবল সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতে কোথাও কোথায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও সার্বিক ভাবে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে শুরু করেছে। নামছে রাতের পারদও। আর তার সঙ্গেই বায়ুদূষণ বাড়ছে বলে আশঙ্কা।
বস্তুত, বর্ষা ও শীতের মাঝে শরৎ ও হেমন্ত বলে দু’টি ঋতু বাঙালির ক্যালেন্ডারে আছে। জলবায়ুর খামখেয়ালিপনায় শরৎ তো কবেই উধাও হয়েছে। তবে কোনও কোনও বছর শীত আসার আগে হেমন্তের গন্ধটুকু মেলে। কিন্তু পরিবেশবিদেরা বলছেন, বর্ষার বিদায় যেমন প্যাচপ্যাচে গরম দূর হল, তেমনি অন্য একটি আশঙ্কাও মাথাচাড়া দিচ্ছে। তা হল বায়ুদূষণ। বৃষ্টির ফলে বাতাসের ভাসমান ধূলিকণা ধুয়ে যায়। ধুলো কম হয়। কিন্তু বর্ষা পেরোলেই শুকনো হাওয়া ধুলো ওড়ায়। পথেঘাটে ধুলোবালিও বেশি হয়। গত দু’বছর শীতে কলকাতার বায়ু মারাত্মক ভাবে দূষিত হয়েছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে একাধিক বার দূষণমাত্রায় দিল্লিকেও টেক্কা দিয়েছিল কলকাতা। পরিবেশকর্মীদের অনেকের দাবি, জেলাগুলির বায়ুর পরিস্থিতিও ভাল নয়।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, আপাতত কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র হাওয়ার গুণগত মান সন্তোষজনক। কিন্তু যত শীত এগিয়ে আসবে, ততই এই পরিস্থিতি ঘোরালো হবে বলে মনে করছেন পর্ষদের অনেকে। তবে পর্ষদের কর্তারা জানাচ্ছেন, এই দূষণ ঠেকাতে জঞ্জাল পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ, ফুটপাথে হকার বা খাবারের দোকানিদের কয়লার উনুনের বদলে এলপিজি বা বৈদ্যুতিক চুল্লি দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস বলছে, কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র রাতের তাপমাত্রা কমছে। কলকাতার রাতের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমেছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো পশ্চিমের জেলা কিংবা উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্স এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কম রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গা থেকেই বর্ষা বিদায় নেবে। আবহাওয়া ক্রমশ শুকনো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy