Advertisement
E-Paper

ইডির মামলায় চার্জ গঠন পিছোল, ‘কাকু’র শারীরিক অবস্থা দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে কোর্ট

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির মামলায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেল আদালতে। ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অসুস্থতার কারণে চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার শুনানি সম্ভব হল না সোমবার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:২৯
(বাঁ দিকে) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির মামলায় চার্জ গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেল আদালতে। ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অসুস্থতার কারণে চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার শুনানি সম্ভব হল না সোমবার। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ২ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি হবে। সব ঠিক থাকলে এই মামলায় সে দিনই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে আদালত। তবে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হবে। তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ দেবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রাথমিকে ইডির করা মামলায় আদালতে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছিল। চার্জ গঠনের সময়ে অভিযুক্তদের আদালতে সশরীরে হাজির থাকতে হয়। পর পর কয়েক দিন এই কারণে আদালতে গিয়েছিলেন ‘কাকু’ও। কিন্তু সোমবার সকালে প্রেসিডেন্সি জেলের মধ্যে আচমকা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেল সূত্রে জানা যায়, তিনি সংজ্ঞা হারিয়েছেন।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ‘কাকু’কে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তাঁর আইনজীবী সোমনাথ সান্যাল আদালতে আবেদন জানান, আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কাকু’র চিকিৎসা করানো হোক। এই আবেদনে আপত্তি জানায়নি ইডি। তবে ‘কাকু’র নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।

‘কাকু’কে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়। কলকাতা পুলিশকে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় আদালত। ওই হাসপাতালে এর আগেও ‘কাকু’র চিকিৎসা হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল ওই হাসপাতালেই।

দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ‘কাকু’। জেল হেফাজতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। জেলের হাসপাতালে ছিলেন দীর্ঘ দিন। অসুস্থতার কারণে একাধিক বার আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি সশরীরে হাজিরা দিতে পারেননি। ইডির মামলায় ‘কাকু’ জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। অসুস্থতার কারণে আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে না-পারায় তাঁর সেই সিবিআই হেফাজতও বার বার পিছিয়ে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশে কিছু দিন আগে ‘কাকু’কে হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে আবার তাঁকে পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে।

Primary Recruitment Case Recruitment Case School Recruitment Case Bengal Recruitment Case ED
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy