ফাইল চিত্র।
মাদক পাচারের অভিযোগে রাজ্য সিআইডি’র হাতে ১৯ দিন ধরে বন্দি পাঁচ চিনা নাগরিক। কিন্তু তাঁদের নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে রাজি নয় কলকাতার চিনা উপ-দূতাবাস। ওই নাগরিকদের সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে রাজ্যের কাছে কোনও তথ্যই চায়নি তারা। পরিস্থিতি দেখে তদন্তকারীদের সংশয়, তা হলে কি ধৃতদের থেকে নিজেদের দূরত্ব বাড়াচ্ছে চিনা কর্তৃপক্ষ। যদি তাই হয়, এর কারণ কী?
কলকাতার চিনা কনসাল জেনারেল মা ঝানউ এখন বেজিংয়ে। ফলে এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে চিনা উপদূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, ধৃতদের নাম- ধাম এবং তাঁরা চিনের কোন প্রদেশের সে সব খোঁজ খবর করা হয়েছে। এর বাইরে এখনই কিছু করা হচ্ছে না।
যদিও জলপাইগুড়ি জেলে বন্দি ওয়াই ইউ নামে অপর এক চিনা নাগরিকের ক্ষেত্রে উপদূতাবাস অতি তৎপর ছিল। ইউ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এ দেশে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁকে শিলিগুড়ি অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নবান্নের খবর, ওই চিনা নাগরিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য দূতাবাস থেকে বার বার অনুরোধ করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রক ‘কনসুলার অ্যাকসেস’ অনুমোদনও করে। গত ২৩ জুন চিনের কূটনীতিকদের তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলেও আগের দিনই পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা।
সিআইডি’র তদন্তকারীরা অবশ্য মাদক পাচারে অভিযুক্তদের নিয়ে চিনা সরকারের শীতল অবস্থানে কিছুটা কৌতুহলী। গত ২৩ জুন মাঝরাতে ওয়াং শিয়াতং নামে ওই দলের পাণ্ডা হংকং থেকে কলকাতায় নামেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক আত্মীয় শুয়ে ইয়ংহুই। সে দিনই দিল্লি থেকে কলকাতা উড়ে আসেন ছং হাও, লি ছং এবং লিউ পোশিয়ান নামে আরও তিন চিনা নাগরিক। এঁরা সবাই এখন ৪০ কোটির মাদক পাচারের অভিযোগে সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন। চিনা কূটনীতিকেরা এতদিনেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় সিআইডির তদন্তকারীদের একাংশের প্রশ্ন, তা হলে ধৃতরা কি সত্যিই ‘সিরিয়াস’ অপরাধী? যা চিন সরকারের আগে থেকেই জানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy