লেখক-গবেষক চিত্রা দেব দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয় টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতালে। ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে ওখানে ভর্তি করানো হয়।
অবিবাহিত চিত্রা দেবী থাকতেন রানিকুঠির রিজেন্ট পার্ক সরকারি আবাসনে। গত এক যুগ ধরে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। সেই অবস্থাতেই লেখেন ‘ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল’। দ্বারকানাথ ঠাকুরের ‘বেলগাছিয়া ভিলা’ কেনা, সেখানে দেশ-বিদেশের গণ্যমান্যদের আমন্ত্রণ করে উৎসবের আয়োজন কিংবা পাথুরিয়াঘাটায় যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের ‘প্রাসাদ’ ও তাঁর বাগানবাড়ি ‘মরকত কুঞ্জ’-র কথা ও এই সব বাড়ির মানুষদের বিষয়ে বলা আছে গত বছর প্রকাশিত ওই বইয়ে। যে সব তথ্য আসলে বাঙালির আধুনিক হয়ে ওঠার ইতিহাসের অংশ।
তবে চিত্রা দেবকে প্রথম খ্যাতি এনে দেয় ‘ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল’। যে বইয়ের প্রকাশকাল ১৯৮০। ডান দিকের বদলে বাঁ দিকে আঁচল রেখে ও কুঁচি দিয়ে শাড়ি পরা তখনকার বোম্বাই থেকে শিখে কলকাতায় যিনি চালু করেছিলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজো বউদি। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী। গভীর গবেষণায় ঠাকুরবাড়ির ভিতরকার এই ধরনের বহু তথ্য বার করে ওই বই লেখেন চিত্রা দেবী।