Advertisement
E-Paper

ভুয়ো নথি দিয়ে সল্টলেকে সরকারি জমি দখল, সিআইডির জালে প্রোমোটার

নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, সল্টলেকের ডিবি ব্লকের একটি-সহ মোট তিনটি সরকারি জমি বেহাত হয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, কয়েক জন প্রভাবশালী জমি ব্যবসায়ী এবং প্রোমোটার ভুয়ো নথি তৈরি করে সরকারি জমি হাতিয়ে নিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ১৫:০৩
অভিযুক্ত প্রোমোটারকে বিধাননগর আদালতে তোলার সময়ে। — নিজস্ব চিত্র।

অভিযুক্ত প্রোমোটারকে বিধাননগর আদালতে তোলার সময়ে। — নিজস্ব চিত্র।

ভুয়ো নথি তৈরি করে সরকারি জমি দখল করার অভিযোগে সল্টলেকের এক প্রোমোটারকে গ্রেফতার করল সিআইডি। রাজীবরঞ্জন কুমার নামে ওই প্রোমোটার সল্টলেকেরই বাসিন্দা। রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের করা ২০১৯ সালের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রোমোটারকে প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র এক কর্তা।

নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, সল্টলেকের ডিবি ব্লকের একটি-সহ মোট তিনটি সরকারি জমি বেহাত হয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, কয়েক জন প্রভাবশালী জমি ব্যবসায়ী এবং প্রোমোটার ভুয়ো নথি তৈরি করে সরকারি জমি হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করে সিআইডি-র অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা।

সেই তদন্তেই সল্টলেকের বাসিন্দা রাজীবরঞ্জন কুমারের নাম উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

আরও পড়ুন: সমাধান অধরা, স্থলে-আকাশে সমানে টক্কর দিতে প্রস্তুতি বাড়াছে ভারত

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমি যাঁর নামে বরাদ্দ হয়েছিল, তিনি সেই জমি নগরোন্নন দফতরকে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং কলকাতা ছেড়ে ভিন্‌রাজ্যে মেয়ের কাছে চলে যান। অভিযোগ, প্রতারকরা নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে জমির মালিককে দিয়ে কিছু নথি সই করিয়ে আনেন। তার পর সেই জাল নথি ব্যবহার করে সরকারি জমি হস্তগত করেন।

সিআইডি সূত্রে ইঙ্গিত, তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই প্রতারণার সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের যোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, পুরসভার নাকের ডগায় কী ভাবে সরকারি জমি দখল হয়ে গেল? কী ভাবেই বা সেই জমিতে নির্মাণের ছাড়পত্র পেলেন ওই প্রোমোটার? তদন্তকারীদের ইঙ্গিত, গোটা ঘটনায় পুরসভারও গাফিলতি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যে সময় ওই প্রতারণা এবং জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে তখন বিধাননগর পুরসভার মেয়র ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি তখন তৃণমূলের মেয়র ছিলেন। বর্তমানে বিজেপিতে রয়েছেন সব্যসাচী। সিআইডি আধিকারিকদের এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা সেই সময়ে পুরসভার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সঙ্গে এই প্রতারণার সরাসরি কোনও যোগ আছে কি না তা নিয়ে মুখ খোলেননি। এক সিআইডি আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। তাঁকে হেফাজতে চাওয়া হবে আদালতের কাছে। তাঁকে জেরা করে যাঁদের নাম উঠে আসবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকা হবে।”

আরও পড়ুন: ‘যত দিন যাচ্ছে আমার রাগ বাড়ছে’, করোনা নিয়ে ফের চিনকেই তোপ ট্রাম্পের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রাজীবরঞ্জন এক সময়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। সল্টলেক এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, সব্যসাচী দত্ত মেয়র থাকার সময়ে রাজীবরঞ্জনের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। তবে সম্প্রতি তাঁকে বিজেপির বেশ কিছু নেতার সঙ্গে দেখা গিয়েছে বলে দাবি সল্টলেকের তৃণমূল নেতা কর্মীদের একটা অংশের। তবে এ প্রসঙ্গে সব্যসাচীর বক্তব্য, ‘‘রাজীবরঞ্জন কুমার কে, কেন আমার এ বিষয়ে কোনও ধারণা নেই।’’

Salt lake Promoter CID government land
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy