ফাইল চিত্র।
ভারতী ঘোষের আরও এক ফ্ল্যাটে সিআইডি অভিযান। ডিপিপি রোডের পর, এ বার নাকতলারই এনএসসি বোস রোডে তাঁর ছেলের ফ্ল্যাটে হাজির হল সিআইডির দল। তবে ফ্ল্যাটে কেউ না থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেননি সিআইডি কর্তারা। শুক্রবার রাত থেকে ফ্ল্যাটের সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। যদিও সিআইডির দাবি, না জেনেই ভারতী ঘোষের ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে ভবানীভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ডিআইজি-সিআইডি নিশাদ পারভেজ দাবি করেছেন, তল্লাশির সময় কোনও প্রাক্তন পুলিশ কর্তার স্বামীকে হেনস্থা করা হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তল্লাশি অভিযানে ৬০ লক্ষ টাকা, তিনটি ল্যাপটপ, সিম কার্ড, প্রচুর কাগজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ সিআইডির একটি দল ডিপিপি রোডে ভারতী ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত চলে তল্লাশি। ভারতীর স্বামী তখন ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুরে ভারতীর আর একটি ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছিল সিআইডি।
ওই দুই তল্লাশি অভিযানের সময়ই নাকতলায় আরও একটি ফ্ল্যাটের হদিস পায় সিআইডি। জানা যায়, এনএসসি বোস রোডের একটি বহুতলের সাত তলার ফ্ল্যাটে ভারতী ঘোষের ছেলে থাকেন। শুক্রবার গভীর রাতেই পুলিশের সঙ্গে সিআইডির দল হাজির হয়ে যায় ভারতীর সেই ফ্ল্যাটে। কিন্তু ফ্ল্যাটে কেউ না থাকার জন্য ভিতরে ঢুকতে পারেননি তদন্তকারীরা। রাত থেকে ওই বহুতলের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: তাঁর ‘মা’ ছিল, পরোয়া ছিল না কিছুর
আরও পড়ুন: ভারতীর অনুপ্রেরণা কে, প্রশ্ন বিরোধীদের
এককালে মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ এখন নবান্নের নজরদারিতে পড়েছেন। বদলির নির্দেশের পর, চাকরি থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। আর তার পরই সোনা কারবারের পুরনো মামলায় ভারতীকে নিশানা করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতীর নাকতলার বাড়ি ছাড়াও কালিকাপুরের ইএম বাইপাস সংলগ্ন তাঁর নির্মীয়মাণ বাড়ি, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা, বীরভূমে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েক জন পুলিশ অফিসারের বাড়ি, কোয়ার্টারেও তল্লাশি চালিয়েছিল সিআইডি। সব মিলিয়ে মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৬০ লক্ষ টাকা এবং ২ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy