ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ছ’মাস ধরে ধর্ষণ এবং সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, এর পরে তার নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাড়ি কালিন্দীতে। বৃহস্পতিবার দমদম থানায় তার পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, বাপ্পা বেরা নামে স্থানীয় এক যুবক ছ’মাস ধরে মেয়েটিকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন, সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছেন। মেয়েটির নগ্ন ছবিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করছে। মেয়েটির পরিবার সূত্রে খবর, মে মাসে মেয়েটি নিজের জন্মদিনে এক বান্ধবীর সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। মেয়েটির অভিযোগ, লালগড়ে এক বহুতলের এক তলায় একটি ফ্ল্যাটে তাকে নিয়ে যায় বান্ধবী। সেখানে বাপ্পা তাকে ধর্ষণ এবং তার ভিডিও করেন।

অভিযোগ, ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এর পরেও একাধিক বার বাপ্পা তাকে ধর্ষণ করেন। এক সময়ে মেয়েটি বাপ্পাকে জানায় সে বাড়িতে সব জানাবে। তখন বাপ্পা জানায়, নিজের একটি নগ্ন ছবি পাঠালে সব ভিডিও তিনি মুছে ফেলবেন। মেয়েটি তা পাঠালে ছবিটি বাপ্পা বিভিন্ন জনের মোবাইলে ছড়িয়ে দেন।

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার ছবি-সহ বাপ্পা মেয়েটির বাড়িতে উপস্থিত হলে তাঁরা বাপ্পাকে অনুরোধ করেন বিষয়টি কাউকে না জানাতে। বুধবার ছাত্রীর বাবা তাকে স্কুল থেকে আনতে গেলে বাপ্পা এক সঙ্গী-সহ উপস্থিত হন। অভিযোগ বাপ্পা ও তার সঙ্গী মেয়েটিকে অপমান করলে মেয়েটির বাবা প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়। পরিবারের দাবি, এর পরেই মেয়ে তাঁদের সব খুলে বললে বৃহস্পতিবার তাঁরা থানায় অভিযোগ জানান।

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটির বাবা বাসচালক। বাপ্পা গেঞ্জির কাপড়ের ছাঁটের ব্যবসা করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনায় বেশ কিছু বিষয়ে পুলিশের ধন্ধ রয়েছে। মেয়েটির সেই বান্ধবীর ভূমিকা কী খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি-২ ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘ওই কিশোরীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে।