E-Paper

সংবিধান পাঠ করে রুটি-রুজির প্রশ্নে জোর কংগ্রেসের

প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে এ দিন ওই কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্যে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, দলের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, মহম্মদ মোক্তার-সহ অন্যেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:০৭
কংগ্রেসের ডাকে সংবিধান পাঠের সভা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে।

কংগ্রেসের ডাকে সংবিধান পাঠের সভা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। —নিজস্ব চিত্র ।

আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে যখন ধর্ম-কেন্দ্রিক রাজনীতির স্বর ক্রমে চড়া হচ্ছে, সেই আবহে শনিবার রাজপথে ‘শত-সহস্র কণ্ঠে সংবিধান পাঠ’ করে রুটি-রুজির প্রশ্নতে জোর দেওয়ার কথা বলল কংগ্রেস। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে এ দিন ওই কর্মসূচি থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বিভাজনের রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলে তা রোখার ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সংবিধান পাঠের কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থকদের সাড়া দেখে উৎসাহিত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে এ দিন ওই কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্যে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, দলের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, মহম্মদ মোক্তার-সহ অন্যেরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা এলাকার সামনে থেকে মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মানস সরকারের নেতৃত্বে একটি মিছিল কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। সমাবেশ থেকে মীর বলেছেন, “ধর্ম মানুষের হৃদয়ে থাকে। কিন্তু দেশ ও পশ্চিমবঙ্গে বিভাজন, মন্দির-মসজিদের রাজনীতি চলছে। সংবিধান সাম্য, স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকারের কথা বলেছে। সেই সংবিধানকেই শেষ করার ষড়যন্ত্র রয়েছে বিজেপি, আরএসএসের। রাজনীতি হবে কাজ, উন্নয়নের মতো বিষয়কে সামনে রেখে।” এর রেশ ধরেই শুভঙ্করও বলেছেন, “বি আর আম্বেডকরকে নিয়ে সংসদে কুৎসিত কথা বলেছে বিজেপি। আর বিভিন্ন বিলে ভোটের সময়ে তৃণমূলের সাংসদেরা অনুপস্থিত থাকেন। রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণ করছে তৃণমূল ও বিজেপি। সংবিধানের শপথ নিয়ে আগামী দিনে রুজি-রুজির দাবিতেই জোর দিতে হবে।” পাশাপাশি, স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে সংবিধান পাঠ বাধ্যতামূলক করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে ফের আর্জি জানিয়েছেন শুভঙ্কর।

বাংলা, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজিতে এ দিন সংবিধান পাঠ হয়েছে। ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরাও। সাম্প্রতিক সময়ে ‘বন্দে মাতরম্’, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান নিয়ে রাজনৈতিক তরজা দেখেছে রাজ্য। এই আবহে এ দিন কংগ্রেস স্লোগান দেয়, ‘বন্দেমাতরমের অপমান/ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের অসম্মান’। পাশাপাশি, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দে মাতরম্’, রবীন্দ্রনাথের ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গাওয়া হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Constitution Congress Bengali

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy