শুধু পর্যটনকেন্দ্র নয়, দিঘাকে এ বার ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবেও গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই, অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হবে জগন্নাথ মন্দিরের। সেই উপলক্ষে বুধবার নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী-সহ শীর্ষ পদস্থ আমলারা। বৈঠকে যোগ দেবেন পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের কর্তারা। থাকবেন ইসকনের প্রতিনিধিরাও। দিঘার ওই মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে ইসকনের হাতে। মন্দির উদ্বোধনের দিনে কোন দফতরের কী দায়িত্ব থাকবে, তারই রূপরেখা বুধবারের বৈঠকে তৈরি হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দির উদ্বোধনের পরেই তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। বুধবারের বৈঠকে তাই ইসকনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। দিঘায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে মন্দির। সেই মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। সূত্রের খবর, বুধবারের বৈঠকে হিডকোর কর্তাদেরও উপস্থিত থাকার কথা। অক্ষয় তৃতীয়ায় মন্দির উদ্বোধনের প্রায় ২০ দিন আগে থেকে দিঘা শহরে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত টোটো চলাচলও বন্ধ থাকবে দিঘার ভিতরে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকেরা কী ভাবে যাতায়াত করবেন, তা নিয়েও আলোচনা হবে বুধবারের বৈঠকে। সেখানে তাই উপস্থিত থাকবেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা। যোগাযোগ সচল রাখতে কী কী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। উদ্বোধনের সময় দিঘা এবং মন্দির চত্বরে ভিড় হতে পারে। সেই ভিড় সামলে নিরাপত্তা বজায় রাখার বিষয়টিও দেখা হবে বৈঠকে। তাই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পুলিশকর্তারাও।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যে সব রীতিনীতি পালন করা হয়, সে রকম কিছু ‘বিশেষ’ বিষয় দিঘার মন্দিরেও পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে। জগন্নাথের প্রসাদের মধ্যে স্থানীয় মিষ্টিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। দিঘায় পুরনো জগন্নাথ মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরকে ‘জগন্নাথের মাসির বাড়ি’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরীর মতো দিঘায়ও জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার জন্য তিনটি রথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পুরীর মন্দিরের মতো দিঘার মন্দিরেও প্রতি দিন বিকেলে ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকবে। তৈরি করা হবে চৈতন্য ফটকও।