তাঁকে ঢাক বাজাতে দেখা যায় ফি-বছর পুজোয়। আদিবাসী রমণীদের সঙ্গে সাঁওতালি নৃত্যে পা মেলানোও নতুন নয়। নেচেছেন ডান্ডিয়াও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই তালিকায় বুধবার যুক্ত হল ভাংড়া নাচ।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দোল এবং হোলির মিলন উৎসব ছিল ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে। সেখানে সমস্ত ধর্মের প্রতিনিধিরা ছিলেন। শুরুতেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশিত হয় মঞ্চে। তার পরে ছোটরা নাচে ডান্ডিয়া। কিন্তু আয়োজনের চিত্রনাট্যে ভাংড়া না থাকলেও পরে তা যুক্ত হয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে। শিখ সম্প্রদায়ের অনেকে গিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। তাঁদের দেখেই মমতা অনুরোধ করেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত হল, ডান্ডিয়া হল, এ বার ভাংড়াও হোক! বলামাত্র কাজ। মঞ্চের নীচে জড়ো হন পাগড়িধারী শিখেরা। সাউন্ড বক্সে বেজে ওঠে দালের মেহেন্দির কণ্ঠে ‘হায়ো রাব্বা’। শুরু হয়ে যায় নাচ।
আরও পড়ুন:
গানের শুরুতে কয়েক মিনিট মঞ্চে নিজের আসনে বসেই করতালি দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার পরেই দেখা যায় মমতা চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েছেন। তার পরে তিনি হনহন করে হাঁটতে শুরু করেন। নেমে মিশে যান ভাংড়ার ভিড়ে। তার পরে সেখানে দাঁড়িয়েই ভাংড়ার ঢঙে হাতের মুদ্রা করে নাচতে শুরু করেন মমতা। গোটা প্রেক্ষাগৃহ তখন উদ্বেল।
পরে বক্তৃতা করতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এ বারই প্রথম আমরা এই অনুষ্ঠান করলাম। তবে পরের বার ইন্ডোরে (নেতাজি ইন্ডোরে) আরও বড় করে করব। তাতে জায়গার অভাব হবে না।’’ বুধবারের অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক শিল্পপতি ও বিভিন্ন ধর্মের ধর্মগুরুরা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘এর আগে আমি দোলের নানা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি। তবে এ বার আমরা আয়োজন করলাম। কলকাতা কর্পোরেশনকে বলেছিলাম এটা করতে।’’ দোল-হোলির মিলন উৎসব থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘মনটা রঙিন রাখুন সব ধর্মের জন্য। রং তখনই রঙিন হয় যখন মন বড় হয়।’’