ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কোন্নগরের বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) তপতী বিশ্বাস। শুক্রবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঠিয়ে দেন এক লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য।
এসআইআরের কাজ করার সময়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় কোন্নগরের বিএলও তপতীর। তাঁর পরিবারের দাবি, এসআইআরের কাজ করতে গিয়ে চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। রাত জেগে এনুমারেশন ফর্ম অনলাইনে আপলোড করার চাপ নিতে পারছিলেন না তিনি। গোটা ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তপতীর দেওর প্রদীপ বিশ্বাস। এই খবর জানতে পেরে শুক্রবার বিএলওর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঠিক চিকিৎসা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে তপতীর স্বামী ছবি বিশ্বাসের হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসকের দফতরের এক আধিকারিক।
বুধবার কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছিলেন তপতী। আচমকাই অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি ওই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কোন্নগর মাতৃসদনে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, প্রৌঢ়ার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অর্থাৎ, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। তাঁকে ভর্তি করে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
তপতী কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, তপতীর বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে তাঁর বাঁ দিক ‘অবশ’ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এমআরআই করানোর জন্য কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। তার পরে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোন্নগর মাতৃসদনে। তবে রাতের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। তপতীর স্বামীর জানান, এমআরআইয়ের রিপোর্টে ধরা পড়েছে, তাঁর স্ত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে কোন্নগরের যেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল, সেখানে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। তাই কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই হাসপাতালে তপতীর সঙ্গে দেখা করে যান শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক (এসডিও) শম্ভুদীপ সরকার। এ ছাড়াও, নির্বাচন কমিশনের লোকেরাও এসেছিলেন হাসপাতালে। অসুস্থতার কারণে তপতীকে বিএলওর দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।