ঘোষণা করে দিলেন, যাদবপুরকে বিশ্বের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চান তিনি।
তার পরেই চোখ রাখলেন নিজের মোবাইলে। ফোন দেখে নিয়ে জানালেন, যাদবপুরকে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার ১০০ কোটি টাকা দিতে পারে কি না, সেটা তিনি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী সম্মতি জানিয়েছেন। এর পরে অর্থমন্ত্রীর পাঠানো সম্মতিসূচক এসএমএসটি-ও পড়ে শোনান তিনি।
তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল নজরুল মঞ্চ। ইতিহাস কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন। সময় শুক্রবার সন্ধ্যা।
মমতা ওই অনুষ্ঠানেই বলেন, ‘‘যাদবপুর আমাকে ভাল বাসতে পারে, না-ও পারে। কিন্তু আমি যাদবপুরকে ভালবাসি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে শত কোটি প্রাপ্তির আশ্বাসের দিনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকেও পাঁচ কোটি টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে গেল যাদবপুর।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নিরিখে যাদবপুর দেশের পয়লা নম্বর প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তুলনায় এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের যথেষ্ট সাহায্য পায় না বলে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মঞ্চে আক্ষেপ করেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এ দিনও মঞ্চ থেকে ফের এই অভিযোগ করেন তিনি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে শিক্ষকদের একাংশ বারবার অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের তরফ থেকেও প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের এই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে শিক্ষা শিবির।
যাদবপুরকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নজরুল মঞ্চে জানান, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে হবে। তার আগেই উপাচার্য দাবি করেন, কেন্দ্রের যথাযথ সাহায্য না-পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় যে এগিয়ে চলেছে, তার জন্য রাজ্যে সরকারের আর্থিক সাহায্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
পার্থবাবু এ দিন যে-পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা জানান, তার মধ্যে বই কেনার জন্য থাকছে এক কোটি টাকা। বাকি চার কোটি খরচ হবে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়ার্কশপের উন্নয়নে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy