নবান্নের চারপাশে বহুতল নির্মাণে নিয়ন্ত্রণ আনতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই নির্দেশে বেকায়দায় পড়েছে হাওড়া পুরসভা। কোনও ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান সমস্ত আইন মেনে বহুতল গড়ার জন্য পুরসভায় আবেদন করলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বা মুখ্যমন্ত্রী তথা নবান্নের নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কোনও আইনি অনুমোদন আদৌ মিলবে কি না, তা নিয়ে পুরকর্তাদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। নবান্নের ঠিক কতটা এলাকা ঘিরে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে তা নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন তৃণমূল বোর্ড পরিচালিত হাওড়া পুরসভা। তাই বিষয়টি রাজ্য পুর দফতরের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিয়েছেন হাওড়ার পুরকর্তারা।
সম্প্রতি নবান্নের চার পাশে বহুতল নির্মাণে নিয়ন্ত্রণ আনতে হাওড়ার মেয়রকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই তড়িঘড়ি নবান্ন এলাকার সমস্ত বাড়ির নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। ওই এলাকায় নতুন করে কোনও বহুতল তৈরির আবেদন জমা পড়েছে কি না, সেই ফাইলও খতিয়ে দেখা হয়। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে মোট ১০১টি।
পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, নবান্ন এলাকায় পাঁচ তলার বেশি বহুতল তৈরির আবেদন জমা পড়লে তা নাকচ করার কোনও বন্দোবস্ত পুর-আইনে নেই। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কী ভাবে কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই এলাকায় পাঁচতলার চেয়ে উঁচু বাড়ি কেউ করতে চাইলে কোন আইনে তাঁকে আটকানো যাবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের নির্দেশ কার্যকর করতে কোনও আইনি জটিলতা রয়েছে কি না তা-ও দেখা হচ্ছে।’’
পুরকর্তারা বলছেন, গোটা বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন দফতরের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মেয়র বলেন, ‘‘রাজ্য পুর দফতর ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে যে নির্দেশিকা দেবে, সেই মতোই কাজ করবে পুরসভা।’’ মেয়র জানান, রাজ্য পুর দফতরকে তথ্য দিয়ে সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুরসভা কাজ শুরু করেছে।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘মেয়রকে আমরা অনুরোধ করেছি হাওড়ায় বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে পুলিশের অনুমতিও যাতে নিতে হয় সে ভাবে আইন সংশোধন করতে।’’ পুলিশের একাংশের বক্তব্য, নিরাপত্তার স্বার্থে নির্মাণের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার নজির সারা দেশেই রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy