প্রতীকী ছবি।
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনকারী যুবক আরেফুল মল্লিক ও তাঁর পরিবারের অবস্থার খোঁজ নিতে সক্রিয় হল মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। কেশপুরের বাসিন্দা, প্রতিবন্ধী আরেফুল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের (এসএসকে) সহায়ক হিসেবে মাসে ৫৯৫৪ টাকা বেতন পান। কিন্তু সেই বেতন অনিয়মিত। ভুল চিকিৎসার কারণে চোখের সমস্যা হওয়ায় এসএসকে-র বাইরে ছাত্র পড়ানোও বন্ধ। সরকারি বদান্যতায় পাওয়া দু’কেজি চাল ও দু’কেজি গমে তাঁদের ৬ জনের সংসারের গ্রাসাচ্ছাদন ঠিকমতো হয় না। সেই হতাশা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর সম্মতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন আরেফুল। এই নিয়ে হইচই হওয়ার পরে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের (সিএমও) যে শাখা আছে, সেখানে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁর পরিবারের লোককে। ওই যুবকের বাড়িতে শৌচালয় পর্যন্ত নেই জানার পরে বিডিও-কে প্রাথমিক ভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে বলেছে সিএমও। এসএসকে-র বেতন কেন নিয়মিত হচ্ছে না, তা-ও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। নাগরিক সমাজের পক্ষে অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, রতম খাসনবিশ, ভারতী মুৎসুদ্দিরা আরেফুলের সঙ্কট নিয়ে সরব হয়েছেন। প্রাক্তন বিধায়ক ভারতীদেবী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বাচ্চাদের নিয়ে আরেফুলের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা দুরূহ। ওঁর সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী এক দিন সময় দিলে পরিবারটি সমস্যার কথা তাঁকে বলতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy