আর জি করের পড়ুয়া-চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার ডিএনএ-র উপস্থিতির কথা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার কলকাতা হাই কোর্টে সেই ডিএনএ নিয়েই তদন্তের আর্জি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র এবং শামিম আহমেদ একটি হলফনামা জমা দেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ পার্থ মজুমদারকে দিয়ে নির্যাতিতার পরিবার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই তদন্ত চাইছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। যদিও সিবিআই এ দিনও কোর্টে দাবি করেছে যে মর্গে কোনও ভাবে অন্য দেহ থেকে দূষণের মাধ্যমে ওই ডিএনএ এসেছে।
সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতির নির্দেশ, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জমা দেওয়া রিপোর্টে যে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেগুলির উত্তর সিবিআইকে লিখিত ভাবে কোর্টে জানাতে হবে। পরের শুনানি ৩০ জুন। প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতে এই ডিএনএ প্রসঙ্গ এসেছিল। শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর রায়ে মতামত দিয়েছিলেন যে মর্গে নির্যাতিতার দেহের ময়না তদন্তের সময় ভিডিয়ো ছবিতে অন্য এক মহিলার দেহ দেখা গিয়েছে। সম্ভবত, সেই দেহ থেকেই এই মহিলার ডিএনএ এসেছে।
এ দিন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীদের বক্তব্য, অপরাধের সময়ে অন্য মহিলা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি নির্যাতিতাকে স্পর্শ করেছিলেন বলেই নির্যাতিতার শরীরে ওই মহিলার ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। যদিও সিবিআইয়ের তরফে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার বলেন যে মর্গে অন্য কোনও দেহ বা দূষিত ট্রে, মেঝে ইত্যাদি থেকে ওই ডিএনএ আসতে পারে। দু’জন মহিলা ডাক্তার নির্যাতিতার মৃতদেহ পরীক্ষা করেছিলেন। তাঁদের থেকেও ওই ডিএনএ আসতে পারে। সিবিআই নতুন করে নিরপেক্ষ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছে এবং তিনিও জানিয়েছেন যে দূষণের মাধ্যমে ওই ডিএনএ এসেছে। সঞ্জয় রায় একাই যে ধর্ষণ এবং খুনে জড়িত, সেই তত্ত্বে স্থির রয়েছে সিবিআই।
বিচারপতি এ দিন সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, কোন ডিএনএ দূষণের মাধ্যমে এসেছে এবং কোন ডিএনএ স্বাভাবিক ভাবে এসেছে, সেটা কি বলা সম্ভব? তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল, পরিবারের প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া এবং সেগুলির নিরসন করা।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)