কয়েক দিন ধরেই স্টেশন চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিলেন যুবক। চিৎকার করে গান করেন, বসে থাকেন নানা দোকানের সামনে। দুর্গাপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন সেই যুবকের গায়ে ‘মজার ছলে’ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক হোটেল মালিক ও তাঁর দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার রাতে ওই যুবকের চিৎকার শুনে আগুন নেভান কিছু অটোচালক। তাঁদের দাবি, ওই হোটেল মালিক সুভাষ অধিকারী তখন তড়িঘড়ি চিকিৎসা করানোর নাম করে যুবকটিকে নিয়ে চলে যান। কিন্তু শনিবার সকালে জখম অবস্থাতেই ওই যুবককে সেখানে ঘোরাফেরা করতে দেখে ওই অটোচালকেরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।
পুলিশ জানায়, বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবকের নাম আলিমুদ্দিন শেখ। বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ফুলবাড়ি গ্রামে। সম্প্রতি কোনও ভাবে দুর্গাপুরে পৌঁছয়। স্টেশনের কাছেই ঘোরাঘুরি করায় ক’দিনেই চেনা মুখ হয়ে উঠেছে সে। অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১টা নাগাদ সুভাষেরা মোটরবাইক থেকে পেট্রোল বের করে আলিমুদ্দিনের পশ্চাৎভাগে ঢেলে দেয়। তার পরে আগুন জ্বালায়। চিৎকার করতে করতে অটোস্ট্যান্ডের দিকে দৌড়ে আসেন আলিমুদ্দিন। চালকেরা আগুন নেভান।
অটোচালকদের সুভাষ জানান, মজা করতে গিয়ে এমন ঘটেছে। আলিমুদ্দিনকে নিয়ে তিনি চলেও যান। কিন্তু সকালে দেখা যায়, বিবস্ত্র ও দগ্ধ অবস্থায় স্টেশন চত্বরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন আলিমুদ্দিন। পুলিশ পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।