তাঁদের সম্পর্কে ‘সন্তোষজনক’ মূল্যায়ন দফতরের। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধেই ‘বেআইনি’ কাজকর্মের অভিযোগ আসছে বেনামী চিঠিতে। যা নিয়ে জেরবার কারা দফতর থেকে ডাইরেক্টরেট!
সংশোধনাগারের নজরদারির গত কয়েক মাসে শিথিলতা এসেছিল। এখন ফের নজরদারি বেড়েছে। এর পর থেকেই কারা দফতর থেকে ডাইরেক্টরেটে সংশোধনাগারের পদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ বেনামী চিঠিতে জমা পড়েছে। বিষয়টি নবান্ন পর্যন্ত গড়িয়েছে। কোনও চিঠিতে লেখা, বন্দিদের পরিষেবার বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে। আবার কোথাও বলা হয়েছে, সংশোধনাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন।
চিঠি এলেও প্রেরকের কোনও হদিশ মিলছে না। চিঠির উৎস খুঁজতে ব্যস্ত কারা দফতর থেকে ডাইরেক্টরেট। কোনও কোনও ক্ষেত্রে চিঠির উৎস সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য মিললেও নিশ্চিত হতে পারছে না দফতর। চিঠির উৎস সন্ধানে অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু হয়েছে। যাচাই করা হচ্ছে চিঠির সত্যতা। এক কর্তার মতে, এসব চিঠি বন্দিদের থেকে আসছে না, তা প্রায় নিশ্চিত। বরং সংশোধনাগারের কারোর সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে দফতর।
কারা দফতর সূত্রে খবর, সংশোধনাগারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এক কারা কর্তার কথায়, ‘‘যাঁরা সংশোধনাগারে ঠিকঠাক পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেই বেশি চিঠি জমা পড়েছে। এই দুটির মধ্যে কোনও যোগসূত্র থাকতেও পারে।’’ বন্দিদের সঙ্গে যোগসাজশের ফলে সংশোধনাগারে কোনও কোনও কারা কর্মী ‘প্রভাব’ তৈরি করেছিলেন বলেও মনে করা হচ্ছে। সন্দেহের তির তাঁদের দিকেও। বেনামী চিঠির পিছনে তাঁদের ভূমিকাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এক কর্তার কথায়, ‘‘সন্দেহবশত কাউকে দোষী বলা যায় না। নিশ্চিত হওয়ার পরেই বেনামী চিঠির প্রেরকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy