E-Paper

শিক্ষক সংগঠনের মেধা পরীক্ষা স্থগিত, অভিযোগ টাকা তোলার

সমিতি সূত্রের খবর, গত বছর থেকে এই পরীক্ষা চালু হয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসে। এর মাধ্যমে স্কুলের বাইরে বৃহত্তর প্রতিযোগিতায় বসার সুযোগ পায় শিশুরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪১

—প্রতীকী চিত্র।

বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (এবিপিটিএ) আয়োজিত মেধা অন্বেষণ পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রবিবার বারুইপুরের উত্তরভাগ এলাকায় সত্যানন্দ বিদ্যা নিকেতন স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই স্কুলে এ দিন সাড়ে তিনশো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তারা পরীক্ষা দিতে না পারায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা বারুইপুর-ক্যানিং রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

সমিতি সূত্রের খবর, গত বছর থেকে এই পরীক্ষা চালু হয়েছে। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসে। এর মাধ্যমে স্কুলের বাইরে বৃহত্তর প্রতিযোগিতায় বসার সুযোগ পায় শিশুরা। সফল পরীক্ষার্থীদের স্কলারশিপ বা বৃত্তি দেওয়া হয়। এ দিন রাজ্য জুড়ে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। দু’লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয় বলে সংস্থার দাবি।

এবিপিটিএ-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি প্রদ্যোতকুমার ঘোষ জানান, জেলার বহু জায়গায় এ দিন এই পরীক্ষা হয়েছে। প্রায় ২১ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি স্কুলেই পরীক্ষা হয়েছে। তবে অভিযোগ, বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায় সরকারি স্কুলে পরীক্ষা নিতে দেওয়া হয়নি। সেই কারণে কমিউনিটি হল ভাড়া করে পরীক্ষার ব্যবস্থাও হয়। উত্তরভাগে একটি আশ্রম পরিচালিত ওই স্কুলেও পরীক্ষার আয়োজন হয়েছিল। শনিবার সংস্থার কর্মীরা সেখানে পরীক্ষার আসন নম্বর লাগিয়ে যান। তার পরেও এ দিন পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রদ্যোত বলেন, “আশ্রম কর্তৃপক্ষ আমাদের জানান, পঞ্চায়েত প্রধান পরীক্ষা নিতে নিষেধ করেছেন। সেই কারণেই পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হল। এত পড়ুয়াদের হয়রান হতে হল।”

স্থানীয় রামনগর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান সোমনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “গরিব পড়ুয়াদের থেকে ৯০-১০০ টাকা করে তোলা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা কেন? আশ্রম কর্তৃপক্ষ ভেবেছিলেন এটি সরকারি পরীক্ষা। আমি জানাই, টাকা নিয়ে এক সংগঠন পরীক্ষা নিচ্ছে। তখন ওঁরাই পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।” আশ্রম কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দারের দাবি, “বৃত্তি পরীক্ষার নামে টাকা তোলা হয়েছে। পার্টির সংগঠনের নামে ভুল বুঝিয়ে চাঁদা তোলা হয়েছে।” প্রদ্যোতের দাবি, “পরীক্ষার খরচ বাবদ ৯০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে একটি বই দেওয়া হয়েছে। কাউকে জোর করা হয়নি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Protest Exam Baruipur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy