ফাইল ছবি
হাসপাতাল, নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করলেই এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য দফতরও ওই প্রকল্পে কোনও রকম গাফিলতি, কারচুপি মানতে নারাজ। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সকলে যাতে ঠিকমতো পরিষেবা পান, সেই বিষয়ে সব নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালকে বার বার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী ঘিরে গরমিল বা দুর্নীতি বন্ধ হয়নি।
স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দু’-একটি জেলায় মোট সাতটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের শুনানি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে অভিযুক্ত প্রতিটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষেরই জরিমানা হচ্ছে। সেই জরিমানার মোট অঙ্ক প্রায় দেড় কোটি টাকা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী এ দিন বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছে, তা জানানো হয়েছে। জরিমানার বিষয়টিও জানানো হয়েছে তাদের।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মূলত পরিকাঠামোয় ঘাটতি, একই রোগীর দু’বার বিল করা, ভুয়ো বিল ধরিয়ে দেওয়া, এমনকি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভর্তি হওয়া রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার মতো অভিযোগ আছে ওই সব নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে।
এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন, বেশ কিছু নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে খুব ভাল পরিষেবা দিচ্ছে। কিন্তু এক শ্রেণির নার্সিংহোম বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছিল। তার পরেও যে সকলে সতর্ক হচ্ছেন না, এটা তারই প্রমাণ। তাঁর কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা যে-প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, সেখানে কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy