স্বপ্না বর্মণের বাড়িতে কথা বলেছেন পুলিশকর্তা।—ফাইল চিত্র।
স্বপ্না বর্মণের মায়ের সোনার হার ছিনতাই হওয়ার পর থেকে তাঁদের বাড়িতে দু’জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়। সোমবার জলপাইগুড়ির কালিয়াগঞ্জে স্বপ্নার পড়শিরা অভিযোগ করলেন, ওই পরিবারের এক সদস্য স্থানীয় এক বাসিন্দাকে এ দিন মারধর করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা এ দিন চড়াও হন এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্নার বাড়িতে। তাঁদের আরও দাবি, স্বপ্নাদের বাড়িতে নিরাপত্তা দিতে যে দু’জন পুলিশ কর্মী রয়েছেন, তাঁদের সাহায্যে স্থানীয় লোকজনকে হুমকি, হুঁশিয়ারি দেন বর্মণ পরিবারের লোকজন। যদিও স্বপ্নার পরিবারের দাবি, এ সব অভিযোগই মিথ্যে। তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার। এই নিয়ে দিনভর আলোচনা চলে স্বপ্নাদের বাড়িতে। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এই নিয়ে স্থানীয় থানার তরফে জেলা পুলিশকর্তাদের একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে, এ দিন সকালে গ্রামের ২০০-২৫০ জন লোক অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বপ্নার পাতকাটার ঘোষপাড়ার বাড়ি ঘেরাও করে। তাঁদের অভিযোগ, পরিবারের লোকজন সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, যে দুই পুলিশকর্মীকে পরিবারের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে, তাঁদের দিয়ে গ্রামবাসীদের ছোটখাট বিষয়েও হুমকি দেওয়ায় স্বপ্নার পরিবার।
পুলিশ সূত্রে আরও বলা হয়, এ দিন সকালে স্বপ্নার এক দাদা এক গ্রামবাসীর সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়ার পরে বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা চৈতা বর্মণ বলেন, ‘‘স্বপ্নার পরিজনেরা স্থানীয়দের প্রায়ই হুমকি দেন। সোমবার পাড়ার পুজো মণ্ডপে এসে বাসিন্দাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই বর্মণের উপর হামলাও চালানো হয়।’’ নিতাইয়ের পুত্রবধূ প্রতিমা বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ওই পরিবারের তার খারাপ আচরণ মুখ বুজে সহ্য করছি। কিন্তু এ দিন আমার শ্বশুরের উপর আক্রমণ করার পর সকলেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।’’ অন্য দিকে, স্বপ্নার মা বাসনা বর্মণ দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেন, ‘‘আমার ছোট ছেলের সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের ঝামেলা হয়েছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেব।’’ সূত্রের খবর, পরে দু’পক্ষ আলোচনায় বসে।
জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি, তবে পুলিশ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। স্বপ্না কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্বপ্নাকে এর থেকে দূরে রাখতে অনুরোধ করেন স্বপ্নার কোচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy