এসআইআরের (ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন) ৮৫.৭১% ফর্ম বিলি করে ফেলল নির্বাচন কমিশন। তবু কিছু সংখ্যক ভোটারের কাছে এখনও ফর্ম না পৌঁছনোয় কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৬.৫৬ কোটি মানুষের (মোট ভোটার প্রায় ৭.৬৬ কোটি) কাছে ফর্ম পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, এ দিনই বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ) নিয়োগের নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে কমিশন।
কমিশন চেয়েছিল, মঙ্গলবারের মধ্যে বিএলও-রা অন্তত প্রথম বার বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কাজ শেষ করুন। কারণ, তাঁদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে তিন বার করে। তবে দেখা যাচ্ছে, একই পরিবারে স্বামীর ফর্ম পৌঁছলেও স্ত্রীর হাতে তা পৌঁছয়নি। একই পরিবারে এমন ঘটনা ঘটছে বহু জায়গায়। কমিশন জানাচ্ছে, যে ফর্ম যখন ছেপে বেরোচ্ছে, তা তখন বিএলও-র কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি তা দিচ্ছেন সেই ভোটারকে। এখন ছাপার কাজ প্রায় শেষ। ফলে বাকিদের কাছেও ফর্ম পৌঁছবে দ্রুত। পূর্ব বর্ধমানে প্রায় ৯৭% ফর্ম বিলি হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় তা প্রায় ৭৪%। পাশাপাশি, ফেরত নেওয়া লক্ষাধিক ফর্ম ডিজিটাইজ়ও করছেন বিএলও-রা। আবার অনলাইনে এখনও প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ ফর্ম জমা হয়েছে। সম্প্রতি ওয়েবসাইটের পাশাপাশি, কমিশনের অ্যাপের মাধ্যমেও অনলাইন ফর্ম ভর্তির সুযোগ চালু হয়েছে।
অন্য দিকে, এত দিন কোনও অংশের (পার্ট) বিএলএ হতে হলে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মীকে সেই অংশেরই ভোটার হতে হত। কমিশন এ দিন জানিয়েছে, তেমন অংশে কোনও রাজনৈতিক দল বিএলএ-র জন্য উপযুক্ত কর্মী খুঁজে না পেলে, সেই বিধানসভা কেন্দ্রের কোনও কর্মীকেও সেখানকার বিএলএ হিসাবে নিযুক্ত করতে পারবে। তবে তাঁকে সেই বিধানসভা কেন্দ্রের নথিভুক্ত ভোটার হতে হবে এবং যিনি সেই অংশের খসড়া ভোটার তালিকা যাচাই করে মৃত এবং ঠিকানা বদল করা ভোটারদের চিহ্নিত করতে পারবেন।
বিএলএ নিয়োগ নিয়ে কমিশনের নতুন নির্দেশিকা নিয়ে আপত্তি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যের সিংহভাগ বুথে বিজেপির এজেন্ট নেই। তাই স্বচ্ছতা রক্ষার দায়িত্ব ভুলে বিজেপিকে সাহায্য করতে কমিশন এই ব্যবস্থা করছে। তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। বিএলএ নিয়োগ নিয়ে কমিশনের নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “এর ফলে সব রাজনৈতিক দল উপকৃত হবে। এতে অনুপ্রবেশকারী ও মৃত ভোটারদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)