এক যাত্রায় পৃথক ফল! ফাঁসিদেওয়া থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের বিধায়ক সুনীল তিরকে সরকারি আবাসনে থাকার ছাড়পত্র পেয়েছেন। কিন্তু সেই দলেরই আর এক বিধায়ক এবং বিধানসভায় বিরোধী দলের সচেতক বহরমপুর থেকে জয়ী মনোজ চক্রবর্তী চার মাস ধরে আবেদন করেও ছাড়পত্র পাচ্ছেন না! স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এই বৈষম্য নিয়ে।
মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, বিরোধী দলের সচেতক-সহ বিধানসভার বিভিন্ন পদাধিকারীদের সরকারি আবাসন প্রাপ্য। ২০১১-এ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রী হন মনোজবাবু। সেই সুবাদে তিনি বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সরকারি আবাসনে ফ্ল্যাট পান। মে-তে তাঁর সেখানে থাকার ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন মনোজবাবু বিরোধী দলের সচেতক। সে জন্য এখনও তাঁর সরকারি আবাসন পাওয়ার কথা। এই যুক্তিতে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ফ্ল্যাটে থাকার অনুমতি পুনর্নবীকরণ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদনও করেছেন মনোজবাবু। কিন্তু তার কোনও জবাব তিনি পাননি।
অথচ, সুনীলবাবুর ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটেছে। তিনিও প্রথম তৃণমূল জমানায় জোট শরিক কংগ্রেসের মন্ত্রী হিসাবে গড়িয়াহাট রোডের সরকারি আবাসনে একটি ফ্ল্যাট পান। তাঁরও সেই ফ্ল্যাটে থাকার ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তিনিও অনুমতি পুনর্নবীকরণের জন্য সরকারকে আবেদন করেন। সরকার সেই আবেদনে সম্মতি জানিয়ে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত সুনীলবাবুকে ওই ফ্ল্যাটে থাকার অনুমতি দিয়েছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, কোনও পদাধিকারী না হয়ে শুধু বিধায়ক হিসাবেই যদি সুনীলবাবু সরকারি ফ্ল্যাটে থাকার অনুমতি পান, তা হলে দলের সচেতক কেন বঞ্চিত? মনোজবাবুর কথায়, ‘‘আমি এখন বিরোধী দলের সচেতক। তাই ওই ফ্ল্যাট আমার প্রাপ্য। বৈষম্যের কারণ বুঝতে পারছি না।’’ কংগ্রেসের একাংশের ধারণা, মনোজবাবুর তৃণমূল বিরোধিতাই তাঁর ফ্ল্যাট পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আবাসন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মনোজবাবুর ফ্ল্যাটের আবেদন ও সুনীলবাবুর ফ্ল্যাট পাওয়া বিষয়ে ধারণাই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy