Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

স্কুল শিক্ষা দফতরের নোটিসে বিভ্রান্তি তুঙ্গে

সম্প্রতি দাড়িভিট কাণ্ডের পরে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বহু জায়গাতেই স্কুলে মাধ্যমিকস্তরে শূন্যপদ থাকলেও শিক্ষকদের উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সৌমিত্র কুণ্ডু
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৮
Share: Save:

নোটিস ঝুলছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার, উপ-অধিকর্তাদের ঘরের দরজায়। তাতে না আছে সরকারি সিল, না আছে কারও সই। সেই নোটিস ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে। বিশেষ করে উত্তর দিনাজপুর জেলার শিক্ষকদের মধ্যে।

সম্প্রতি দাড়িভিট কাণ্ডের পরে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বহু জায়গাতেই স্কুলে মাধ্যমিকস্তরে শূন্যপদ থাকলেও শিক্ষকদের উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সে জন্য কিছু স্কুলে পদগুলির রূপান্তর বা ‘কনভারসন’ও করা হয়েছে। বেশ কয়েক জন শিক্ষক সেই রূপান্তরিত পদে যোগও দিয়েছেন। কিন্তু দাড়িভিট কাণ্ডের পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পদ রূপান্তর অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। তাতে এক দিকে পদ রূপান্তরের পরে কাজে যোগ দেওয়া শিক্ষকরা বুঝতে পারছেন না, তাঁদের চাকরি কত দিন থাকবে। অন্য দিকে, বেশ কয়েক জন শিক্ষক, যাঁদের পদ রূপান্তর হওয়ার কথা ছিল, তা-ও আটকে গিয়েছে। নিরুপায় হয়ে এই শিক্ষকরা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই যোগাযোগ করতে শুরু করেন। সেখানে সদুত্তর না পেয়ে অনেকে গিয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরে।

কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন তাঁরা দেখেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে যে কোনও খোঁজখবরের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিআই অফিসে যোগাযোগ করতে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ, কেউই দায় নিতে চাইছেন না। জেলার স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে বলা হচ্ছে— অপেক্ষা করুন, এখনও কিছু বলতে পারছি না। শিক্ষকদের একাংশ বলেন, ‘‘শুনেছি স্কুল পরিদর্শক শিক্ষা দফতরের মৌখিক নির্দেশে পদ রূপান্তর করছিলেন। এখন তো সেই মুখের কথার কোনও দাম রইল না।’’ নোটিস সত্ত্বেও কয়েক জন শিক্ষক কমিশনার বা অধিকর্তাদের সঙ্গে সঙ্গে দেখা করেন। পরে ওই শিক্ষকদের দাবি, তাঁরাও মৌখিক ভাবে অপেক্ষা করতেই বলেছেন।

দাড়িভিট কাণ্ডের পর উত্তর দিনাজপুরের স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সাসপেন্ড হয়েছেন। ওই পদে এখন জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক)। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছি। এখন কিছু বলতে পারব না।’’ শনিবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন বেজে গিয়েছে।

শিক্ষকদের একাংশ জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর বিকাশ ভবনের স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁরা। ১৫ দিনের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। সেই সময় অতিক্রান্ত। কাজে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি বেশিরভাগেরই। তাঁদের প্রশ্ন, এখন কী হবে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE